শীতের শুরুতেই ৫ জনের মৃত্যু
ফেনীর হালচাল
প্রকাশিত: ২০ ডিসেম্বর ২০১৮
শীতের প্রথম ধাক্কাতেই শীতজনিত রোগব্যাধির মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাপক হারে। সরকারি হিসাব মতে এ পর্যন্ত শীতজনিত রোগে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। যার বেশিরভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, শীতের বাড়তি অনুভূতি থাকবে আরও কয়েকদিন। তবে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকদের মতে, বাংলাদেশে শীতকালীন স্বাভাবিক তাপমাত্রায় বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধি দেখা দেয়। এর মধ্যে সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, হাঁপানি, টনসিলাটাইসিস, ব্রংকিওলাইটিস, সাইনোসাইটিস, বাত, আর্থ্রাইটিস, চামড়ার শুষ্কতা অন্যতম। এসব রোগ থেকে সুরক্ষায় শীত এড়িয়ে চলতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের ন্যাশনাল হেলথ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের তথ্যমতে, নভেম্বরে সারা দেশে ৫ হাজার ২৩৯ জন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। গত মাসে ঠাণ্ডাজনিত শ্বাসকষ্ট নিয়ে দেশের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ হাজার ৮২০ জন। সর্বোচ্চ রোগী নীলফামারীতে ৪৬২ জন। এ রোগে সিলেটে ১ জন মারা গেছেন। এ সময়ে ঠাণ্ডাজনিত ডায়রিয়ায় (রোটা ভাইরাস) সারা দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯০৪ জন। এর মধ্যে নীলফামারীতে ১ ও নওগাঁয় ২ জন মারা গেছেন। এ ধরনের সর্বোচ্চ রোগী পাওয়া গেছে কিশোরগঞ্জে, ৩৭৬ জন। এছাড়া ঠাণ্ডাজনিত অন্যান্য সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫১৫ জন। সর্বোচ্চ আক্রান্ত সিলেটে, ৪২২ জন; নওগাঁয় ১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
সূত্র মতে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের এ হিসাবের বাইরে আরও রোগী রয়েছেন। যারা বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে রাজধানীতে প্রকোপ সারা দেশের তুলনায় কম।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার ডা. এএসএম আলমগীর বলেন, বাংলাদেশে শীতজনিত রোগের মৌসুম হল নভেম্বর থেকে মার্চ। শুরুতে অর্থাৎ নভেম্বরে রোগীর সংখ্যা বেশি দেখা যায়। সাধারণত আরএসভি, এইচএমপিভি, ইনফ্লুয়েঞ্জা-১, ২ ও ৩ ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত রোগ বেশি দেখা যায় এ সময়ে। বেশিরভাগ রোগীর জ্বর হয় না, কিন্তু তারা মনে করে তাদের জ্বর হয়েছে। কারণ শরীর গরম থাকে। আবার এসব ভাইরাসের অ্যান্টিভাইরাসও নেই আমাদের। এদিকে চিকিৎসকরাও অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে দেয়। এতে শরীরের ক্ষতি হয় বেশি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়। তাই এসব রোগের ক্ষেত্রে প্রতিরোধটাই মুখ্য।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, শীত বেশি পড়লে শীতকালীন রোগব্যাধির পাশাপাশি হাইপোথার্মিয়া হতে পারে। বিশেষ করে বয়স্কদের ক্ষেত্রে এটি হওয়ার শঙ্কা বেশি। হাঁপানি, ডায়রিয়া, সর্দি-কাশিসহ শীতজনিত অন্যান্য রোগ থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই শীত এড়িয়ে চলতে হবে।
অধ্যাপক আবদুল্লাহ বলেন, শরীর গরম রাখতে গরম পোশাক পরতে হবে, গরম পানি খেতে হবে। এমনকি গোসলের ক্ষেত্রে গরম পানি ব্যবহার করতে হবে। যেহেতু এসব রোগে বয়স্ক ও শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে তাই তাদের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। রুম গরম রাখতে রুম হিটার ব্যবহার করা যেতে পারে। তাছাড়া রোগে আক্রান্ত হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
প্রতিরোধের দিকে বেশি নজর দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ফার্মাসিস্টরাও। ফার্মাসিস্ট তানিয়া আহমেদ তন্বী জানান, ঠাণ্ডার ক্ষেত্রে সাধারণত যে সব ওষুধ দেয়া হয় সেগুলো ক্যাফেইন জাতীয়। এ ধরনের ওষুধগুলো সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমকে ত্বরান্বিত করে উত্তেজিত রাখে। আমরা যদি স্বাভাবিকভাবে নিজেকে ঠাণ্ডা থেকে দূরে রাখি তাহলে আর ওষুধ খাওয়ারও প্রয়োজন পড়ে না।
তন্বী আরও বলেন, ২০০৮ সালে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় জানা যায়, টিপিক্যাল মানুষ ঘণ্টায় ১৬ বার মুখে হাত লাগান। যদি চোখ, নাক ও ঠোঁটে স্পর্শ করা কমানো যায় তাহলে শরীরে ভাইরাস প্রবেশের ঝুঁকি বহুলাংশে কমে যাবে। তাছাড়া ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, বিশ্রাম নেয়া বা মানসিক প্রশান্তিতে থাকাসহ ঠাণ্ডা না লাগতে দিলেই এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
বাড়তি অনুভূতি আরও কয়েকদিন : বঙ্গোপসাগরের দুর্বল ঘূর্ণিঝড় ফেথাই তেমন দুর্যোগ ঘটাতে না পারলেও শীত নিয়ে এসেছে। ফেথাইয়ের উৎপত্তির পর থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। তবে দুপুরের পর ঢাকায় সূর্য উঁকি দিয়েছে। মেঘ কেটে যাওয়ায় দেশের অন্যান্য স্থানেও সূর্য আলো ফেলতে পেরেছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ফেথাইয়ের প্রভাবে যে শীতানুভূতি শুরু হয়েছে, তা আরও কয়েকদিন থাকবে। দিনে সূর্যের উপস্থিতিতে শীত তুলনামূলক কম থাকবে। তবে রাতে শীতের অনুভূতি বেশ ভালোই থাকবে।
বুধবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অফিস বলেছে, বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপটি গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ সারা দেশে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় ১ থেকে ৩ ডিগ্রি হ্রাস পেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি বাড়তে পারে।
- মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন
- কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার?
- আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র
- স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা
- দেশে ২৪ ঘণ্টায় ৫ মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৫৬৪
- কিট যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাতে লবিং করেছেন শামসুল আলম ও সরদার সাদী
- ঢাকার বাইরের শ্রমিকদের আসার প্রয়োজন নেই, বেতন পৌঁছে দেওয়া হবে
- ধান কাটতে যাননি, ধানকাটা মেশিন নিয়ে হাজির মাশরাফী
- মাকে নিজের পাশে বসা দেখছিলেন, মৃত্যুর আগে ইরফান খান
- ইফতারে প্রাশান্তি দেবে দই বেলের লাচ্ছি
- মাত্র ৩৭ দিনে ভেন্টিলেটর বানিয়েছে নাসা
- দেশে প্রথম ব্যক্তি উদ্যোগে স্থাপিত করোনা টেস্টিং ল্যাব উদ্বোধন
- এমপিওভুক্ত হলো ১৬৩৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
- একযোগে কাজের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে শেখ হাসিনাকে মোদির টেলিফোন
- মৃতের সংখ্যা ২ লাখ ২৮ হাজার ছাড়াল
- ফুলগাজীতে মাদ্রাসা ছাত্র বলাৎকার মামলার আসামী এমরান গ্রেপ্তার
- ডাকাতিকালে ছাত্রী ধর্ষণ : জড়িত আরো এক আসামী গ্রেপ্তার
- ফেনীতে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দিলেন ৩৯ লাখ ৯২ হাজার টাকা
- দাগনভুঞার বাড়িতেই চিকিৎসা নিবেন করোনা আক্রান্ত নারী
- সোনাগাজীর করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের নমুনা নেগেটিভ
- ফেনীতে করোনার নমুনা সংগ্রহ করবে স্বাস্থ্যকর্মীরা
- দাগনভুঞায় উপসর্গ ছাড়াই সরকারি কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত
- নিতান্ত বাধ্য না হলে বিদেশেই থাকার অনুরোধ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- ফেনীতে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দিলেন ৩৯ লাখ ৯২ হাজার টাকা
- আক্রান্ত নারী জায়লস্করের বাসিন্দা
- ফেনীতে সরকারি সহায়তা এসেছে ৭৭ লাখ টাকা ও ১৭শ ৪৮ টন চাল
- করোনা আক্রান্তের শরীরের অক্সিজেনের পরিমাণ ঘরেই পরীক্ষার উপায়
- দেশে ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক আক্রান্ত, আরো ৮ মৃত্যু
- জামায়াত নেতার সঙ্গে ডা. জাফরুল্লাহর যেসব কথা হয়
- বাইরের পোশাক শ্রমিকরা ঢাকায় আসবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী