বিএনপি সমর্থিত সেই ত্রাণ চোর ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত

বগুড়ার শিবগঞ্জে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩৩০ কেজি চালসহ গ্রেফতার মাঝিহট্ট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান মির্জা গোলাম হাফিজ সোহাগের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বগুড়ার সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) বিকালে এ মামলা করেন। তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এছাড়াও বিএনপিপন্থী এই চেয়ারম্যানকে ত্রাণের চাল চুরির দায়ে বরখাস্ত করে রোববার পৃথক আদেশ জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

তথ্যসূত্র বলছে, করেনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে ত্রাণ বিতরণে অনিয়মসহ অন্য অভিযোগে সমগ্র দেশে আরও ১২ জন জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার। ইউনিয়ন পরিষদের তিনজন চেয়ারম্যান এবং নয়জন সদস্যকে বরখাস্ত করে রোববার পৃথক আদেশ জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

এ নিয়ে ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের আটজন চেয়ারম্যান এবং ১৬ জন সদস্যসহ মোট ২৪ জন জনপ্রতিনিধি সাময়িক বরখাস্ত হলেন।

এদিকে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, চেয়ারম্যান মির্জা গোলাম হাফিজ সোহাগ দামগাড়া গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

শিবগঞ্জ থানা পুলিশ গত ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় গোপনে খবর পেয়ে এই বিএনপি নেতার বাড়িতে অভিযান চালায়। তল্লাশি করে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩৩০ কেজি চাল পাওয়া যায়। চালগুলো জব্দ ও তাকে আটক করে থানায় আনা হয়। পরদিন পুলিশ তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠান।

দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‌‘চেয়ারম্যান মির্জা গোলাম খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩৩০ কেজির চালসহ গ্রেফতার হন। এ চালের মূল্য ১১ হাজার ৮৮০ টাকা। শুক্রবার বিকালে তার বিরুদ্ধে নিজ কার্যালয়ে মামলা করা হয়। সোহাগকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।’

শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর কবির জানান, চেয়ারম্যান মির্জা গোলামকে চালসহ গ্রেফতারের বিষয়টি লিখিতভাবে জেলা প্রশাসককে জানানো হয়। পরবর্তীতে তাকে বরখাস্ত করে রোববার একটি আদেশ জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ।