দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র চালাতে লন্ডনে তারেকের ৪টি উইং!

২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশের বিরুদ্ধে নানা অপতৎপরতা চালিয়ে আসছে বিএনপি-জামায়াত জোট, এমন অভিযোগ দেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত। এরই অংশ হিসেবে লন্ডন থেকেও সরকারবিরোধী ও দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড থেমে নেই। ফেসবুক-টুইটার, ব্লগসহ সামাজিক মাধ্যমে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে তারেক রহমানের কিছু অনুগামী।

জানা গেছে, লন্ডনে চারটি গ্রুপে ভাগ হয়ে এসব তৎপরতা চালায় তারেক রহমানের অনুগতরা। অনলাইনে কাজ করা গ্রুপ ছাড়াও আছে আরও তিনটি গ্রুপ। এদের একটি গ্রুপের কাজ আওয়ামী লীগের কোনও নেতা লন্ডন গেলেই তাদের ওপর চড়াও হওয়া।

এসব অপকর্মের অর্থ জোগান দেয়ার জন্য রয়েছে আরও একটি গ্রুপ। তবে সবকিছুর ‘নাটের গুরু’ হিসেবে কাজ করছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। লন্ডনসহ যুক্তরাজ্যজুড়ে বিএনপির কাজগুলো এভাবেই ধরা পড়েছে সেখানে অবস্থানরত বাঙালিদের চোখে। যেখানে তালিকার শীর্ষে আছে ইউকে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলো।

লন্ডনভিত্তিক একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, এখানকার বিএনপি চারটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মূল হোতা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এই চার গ্রুপের মধ্যে কোর গ্রুপ হয়ে কাজ করছে একটি গ্রুপ, যাদের কাজ হচ্ছে তারেক রহমানের এসব অপকর্মে অর্থ যোগান দেওয়া। যুক্তরাজ্য থেকে অনলাইনে দেশবিরোধী কার্যক্রমের পাশাপাশি বাংলাদেশের ভেতরেও রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তুলতে সেখান থেকে তারা বাংলাদেশে দলীয় নেতাদের অর্থ যোগান দিয়ে যাচ্ছে- এমনটাই জানা গেছে।

অনলাইন গ্রুপটি নিয়মিত ফেসবুক, সংবাদপত্র, ব্লগিং, ইউটিউব, টুইটার ও তুলনামূলক সস্তা অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য, বদনাম, অপবাদ ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এখানে ব্লগার হিসেবে যারা কাজ করছে তারা দেশের গণতন্ত্র ও জিডিপি উন্নয়নকে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে প্রচার করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তাদের বিষোদগার চলে।

তৃতীয় গ্রুপটির কাজ হল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখনই লন্ডন সফর করেন, তখনই অহেতুক বিক্ষোভ দেখানো। চতুর্থ দলটি গঠিত যুবদল ও সাবেক শিবির-ছাত্রদল নেতাদের সমন্বয়ে। এরা সরকারের মন্ত্রী ও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের যুক্তরাজ্য সফরকালে হামলার সঙ্গে জড়িত।

সূত্র মতে, তারেক রহমানের আবাসস্থল কিংস্টন লজ থেকেই কর্মীদের এসব কর্মকাণ্ডের নির্দেশ দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

তারেক রহমানের সাথে এসব কাজে সরাসরি জড়িতরা হচ্ছেন: যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক, সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক মোহিদুর রহমান, হুমায়ুন কবির, সহকারী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন, ব্যারিস্টার আবু সায়েম, সালেহ শিবলি, দেওয়ান নেওয়াজ, সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান, মো. মাহবুবুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নাসির আহমেদ শাহিন, সম্পাদক আবুল হোসেন, সদস্য হাবিুবুর রহমান, মো. সেলিম, মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম, লন্ডন মহিলা দলের সভাপতি অঞ্জনা আলম, সদস্য জান্নাতুল মাওয়া, ডালিয়া লাকুরিয়া, যুবদল সভাপতি রহিম উদ্দিন, সাবেক ছাত্র নেতা শফিকুল রিবলু, গোলাম জাকারিয়া, শাহরিয়ার নাফিস খান, মো. মাসুদ রানা, সোহেল শরীফ এম করিম, মো. মাহবুবুর রহমান, শাহনেওয়াজ জুয়েল, সরফরাজ শরফু, মাহফুজুর রহমান এবং অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট মেহেরুন নেসা।