ব্রেকিং:
মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা ফেনীতে করোনার নমুনা সংগ্রহ করবে স্বাস্থ্যকর্মীরা ফেনীর বিভিন্নস্থানে মোবাইল কোটের অভিযান : ১৪ জনের দন্ড ফেনীতে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌছে দিয়েছে ছাত্রলীগ করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের ফেনীর ৭ সরকারি কলেজের একদিনের বেতন ত্রাণ তহবিলে ফেনী ধলিয়ায় গ্রাম পুলিশের বাড়িতে হামলা, আহত ২ মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? ফেনীতে বাড়তি দামে পণ্য বেচায় ৭ দোকানের জরিমানা দেশে করোনায় আক্রান্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার, একদিনে মৃত্যু ৫ যুক্তরাষ্ট্রে করোনা জয় করলেন ১ লাখেরও বেশি মানুষ ফেনীতে গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার ফেনী শহরে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের প্রধানমন্ত্রীর উপহার প্রদান ফেনীতে ডাক্তারদের সুরক্ষা ও রোগীদের চিকিৎসা সামগ্রী দিয়েছে বিএমএ করোনায় মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৯২ হাজার ছাড়ালো
  • মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ফুলগাজীতে পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিল ৫৫ ইউনিটের দাম ৩৫ হাজার টাকা

ফেনীর হালচাল

প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০১৯  

গত মে মাসে্ ৫৯০ ইউনিট বিদ্যুত ব্যবহারে বিল এসেছে ৬ হাজার ৭শ ২৮ টাকা। একমাসের ব্যবধানে জুন মাসে বিদ্যুত ব্যবহার হয়েছে মাত্র ৫৫ ইউনিট। আর বিল এসেছে ৩৪ হাজার ৭শ ৭০ টাকা। কিভাবে হলো এমন বিল এ প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেনি ফুলগাজী পল্লী বিদ্যুত সমিতির কর্মকর্তারা। গ্রাহকদের অভিযোগ- ভুতুড়ে বিল দিয়ে গ্রাহকদের পকেট কাটছে পল্লী বিদ্যুত।
সংশ্লিষ্ট গ্রাহক ও বিভিন্ন সূত্র জানায়, উপজেলার নতুন মুন্সীরহাট বাজারে মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন মজুমদারের মালিকীয় দোকানের মিটারে মে মাসে বিল এসেছে ৬ হাজার ৭শ ২৮ টাকা। ভুতুড়ে বিল দেখে গ্রাহকের পরিবারের পক্ষ থেকে পল্লী বিদ্যুত অফিসে যোগাযোগ করা হলে তারা জানিয়েছে মিটার পরিবর্তন করতে হবে। সম্পূর্ণ বিল পরিশোধ করে ২শ টাকায় আবেদন জমা দেয়ার পরও পরিবর্তিত মিটারে চলতি মাসে ৫৫ ইউনিটের বিল এসেছে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা।
গ্রাহকের পরিবার সূত্র জানায়, সামান্য ইলেক্ট্রিক্যাল যন্ত্রাংশ (ইঞ্জিন) ব্যবহারের জন্য একটি দোকান ব্যবহার করি। গত মাসেও ব্যবহারের চেয়ে বেশি বিল দিয়েছি। এখন আবার এত টাকা জরিমানা দিতে হলে ভিটে-বাড়ি বিক্রি করতে হবে।
তারা আরো জানান, বিল করার আগে ফুলগাজী পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের ডিজিএম সেকান্দার আলী মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন তার অনেক বিল করা হবে। বিল কমাতে হলে তাকে অফিসে গিয়ে টাকা দিতে হবে। দোকানেও টাকার জন্য ডিজিএম তার কর্মচারী পাঠিয়েছে।
ভুক্তভোগী একাধিক গ্রাহক জানান, পল্লী বিদ্যুতের ভূতুড়ে বিলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন গ্রাহকরা। এ সমস্যার সমাধান ও অভিযোগ করতে গিয়ে ফুলগাজী জোনাল অফিসের পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের তোপের মুখে পড়তে হয় গ্রাহকদের। তাদের অসৌজন্যমূলক আচরণ ও হুমকিতে গ্রাহকরা নিরুপায় হয়ে পড়েছেন।
বাসুড়া গ্রামের গ্রাহক রমজান আলী জানান, মে মাসের বিল পরিশোধ করার পর আবার জুন মাসে যোগ করা হয়েছে। অফিসে যোগাযোগ করলে জানায় আবারও দিতে হবে। ইব্রাহীম ব্রিক ফিল্ডে তাদেরও বিল করেছে ৩৫ হাজার টাকার স্থলে দ্বিগুন ৭০ হাজার টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রাহক জানান, জুন মাসে কে পি আই বোনাসের জন্য সংশ্লিষ্ট অফিস গ্রাহকের সাথে এমন করছে।
জানতে চাইলে ফুলগাজী পল্লী বিদ্যুত জোনাল অফিসের ডিজিএম সেকেন্দার আলী বলেন, গ্রাহক রমজানে বিদ্যুৎ ব্যবহার বেশি করেছে। প্রচন্ড গরমে বিদ্যুৎ ব্যবহার বেশি করছে। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাচ্ছে সেদিকে খেয়াল নেই। শুধু বিল বেশির অভিযোগ করছে।
৫৫ ইউনিটে প্রায় ৩৫ হাজার টাকার বিল প্রসঙ্গে তিনি জানান, এটি বড় আকারের ভুল। আামার এখানে হয়েছে, এখন আামার পক্ষে সমাধান সম্ভব নয়। গ্রাহক আবেদন করলে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি করে বিষয়টি দেখা হবে।
এ ব্যাপারে ফেনী পল্লী বিদ্যুত সমিতির জেনারেল ম্যানেজার আক্তার হোসেন জানান, বিষয়টি তার নজরে এসেছে। খতিয়ে দেখতে এক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অফিসিয়ালি কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ফেনীর হালচাল
ফেনীর হালচাল