করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করলেন সিভিল সার্জন

গত কিছুদিন ধরেই ফেনীতে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের রোগতত্ত্ব ও রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর হিসেবে ফেনীতে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হচ্ছে ৩জন, আর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যানুযায়ী এ পর্যন্ত ব্যক্তির সংখ্যা ২ জন।এ নিয়ে চলছে আলোচনা ও সমালোচনা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) প্রতিবেদককে সেই সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তির ব্যাখা দিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ সাজ্জাদ হোসেন। তিনি বলেন, ফেনীতে করোনায় আক্রান্ত দুই জন ব্যক্তি একজন ছাগলনাইয়া আর অপরজন সোনাগাজী উপজেলায়। তাদের দুজনকেই ফেনী ট্রমা সেন্টারের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এদিকে অপর তৃতীয় যে ব্যক্তির কথা আইইডিসিআর এর তথ্যে যুক্ত করা হয়েছে। আসলে তার বাড়ি ফেনী হলেও তিনি চট্টগ্রাম থাকেন।আক্রান্ত ওই ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন চট্টগ্রামে। তাই আক্রান্ত ব্যাক্তির তালিকায় আইইডিসিআর ওই ব্যক্তিকে ফেনীতে দেখানো হচ্ছে। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

তিনি বলেন, এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোন কারণ নেই। প্রতিদিন ফেনীর তথ্য আমরা ফেইসবুকে আপডেট করি। এ নিয়ে বিভ্রান্তি এবং গুজব না ছড়াতে ফেনীর জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অপর তৃতীয় ব্যক্তির বাড়ি ফেনীর ফরহাদনগরে হলেও তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে থাকেন চট্টগ্রামে। কদমতলীতে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়া তিনি ফেনীর কৃষক লীগের একজন নেতা। গত ১০ এপ্রিল বিআইটিআইডিতে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়।এর পরদিন পরীক্ষার ফলাফলে তার দেহে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়।এরপর চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে তাকে আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে।তবে গত ২ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) ফেনীর ফরহাদনগর এলাকার আত্মীয় বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে একরাত থাকার পর ৩ এপ্রিল চট্টগ্রামে ফিরে আসেন। পরের দিন হতে তার শরীরে সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। এর পাঁচদিন পর তিনি নমুনা পরীক্ষা করাতে যান। শনাক্ত হবার তার সর্বশেষ অবস্থানের কথা উল্লেখ করা হলে, তিনি ফেনীর কথা বলেন। তাই আইইডিসিআর এর হিসেবে তাকে ফেনীর বলে লিপিবদ্ধ করা হয়।