সোনাগাজীতে দুই হাজার কর্মহীনদের মধ্যে শাক-সবজি বিতরণ

সোনাগাজীতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্কে জীবিকার চাকা থেমে যাওয়া কর্মহীন অসহায় দুই হাজার পরিবারের বাড়ি বাড়ি শাক-সবজি ও নিত্যপ্রয়োজনী খাদ্যসামগ্রী পৌছে দিয়েছে উপজেলার

সোনাপুর ক্রীড়া ও সমাজ কল্যান সংঘের সদস্যরা।
স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটিকে অর্থ ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগীতা করছেন সংগঠনের উপদেষ্ঠা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আজিজুল হক হিরন। গতকাল সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলা আমিরাবাদ ও সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে চার শতাধিক পরিবারের মধ্যে এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।

যুবলীগ নেতা আজিজুল হক হিরন বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সোনাগাজীর সরকারি- বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকায় দরিদ্র দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষগুলোর কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে তাঁরা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। এই মানুষগুলোকে ঘরে রাখতে উপজেলা প্রশাসন তাঁদের ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। পাশাপাশি তিনি নিজে উদ্যোগ নিয়ে সোনাপুর ক্রীড়া ও সমাজ কল্যান সংঘের সদস্যদেরকে নিয়ে সভা করে কর্মহীন মানুষের বাড়ি বাড়ি খাদ্যসামগ্রী ও শাক-সবজি পৌছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
তিনি বলেন, গত ৩০ মার্চ উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর এলাকায় স্থানীয় অসহায় ১০০টি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের মধ্য দিয়ে তাঁদের কার্যক্রম শুরু করেন। কর্মহীনরা সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে চাল, চাল, আলু সহায়তা পাচ্ছে। কিন্তু শাক- সবজি পাচ্ছে না। তাই তাঁরা খাদ্যসামগ্রীর পাশাপাশি ব্যতিক্রমী ভাবে শাক-সবজির ব্যবস্থা করেছেন।

সংগঠনের সভাপতি নাজমুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, প্রতি সপ্তাহে এক-দুইদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সংগঠনের ৩০জন সদস্য মিলে তিনটি ভ্যানগাড়িতে করে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কর্মহীন মানুষের বাড়িতে শাক-সবজি পৌছে দিচ্ছেন। প্রতি পরিবারকে আলু, ডাল, লাউ, কুমড়া, প্রয়োজন মত শাক-সবজি, মুলা, গাজর, টমেটো, ঢ্যাঁড়শ, পটল, পেঁয়াজ, শসাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি দিচ্ছেন। ইতিমধ্যে সংগঠনের পক্ষ থেকে আমিরাবাদ ও সদর ইউনিয়নের আটটি এলাকায় প্রায় দুই হাজার পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী ও শাক-সবজি পৌছে দিয়েছেন। তাঁদের এ উদ্যোগ স্থানীয়দের মধ্যে প্রশংসিত হয়েছে।

সংগঠনের উপদেষ্ঠা আজিজুল হক বলেন, সংগঠনের সদস্যরা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে প্রতিটি বাড়িতে তাঁদের মুঠোফোন নম্বর দিয়ে আসছেন। খাদ্যসামগ্রী শেষ হয়ে গেলে ফোনে বিষয়টি জানালে তারা আবার তাদের বাড়ি গিয়ে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী ও শাক-সবজি পৌঁছে দিবেন। পর্যাক্রমে উপজেলার সব কয়টি ইউনিয়নে কর্মহীনদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগঠন সদস্যরা শাক-সবজি পৌছে দেওয়ার উদ্যোগ রয়েছে।