করোনা ভাইরাস শংকায় সোনাগাজীতে ১৪টি চিকিৎসক দল গঠন

সোনাগাজী উপজেলায় করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ১৪টি চিকিৎসক দল গঠন করা হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী সভায় কমিটিগুলো গঠন করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, গতকাল সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা উৎপল দাশের সভাপতিত্বে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে আলোচনা করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য পাঁচটি এবং উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের জন্য ৯টি মিলে ১৪টি চিকিৎসক দল গঠন করা হয়। উপজেলা দলে একজন মেডিকেল অফিসারের নেতৃত্বে চারজন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া ইউনিয়নের প্রতিটি দলে একজন স্যাকমোর নেতৃত্বে পাঁচ-ছয়জন স্বাস্থ্যকর্মী ও হেলথ প্রোভাইডারগণ দায়িত্ব পালন করেন। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তদারকি করা হবে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে করোনাভাইরাসে কোন ব্যক্তিকে সন্দেহ হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন কক্ষগুলিতে রেখে পর্যক্ষেণ করা হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা উৎপল দাশ বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ১৪টি মেডিকেল দলের পাশাপাশি রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) নিদের্শনা মতে তার নেতৃত্বে ১১ সদস্য বিশিষ্ট আরও একটি র‌্যাপিড রেসপন্স দল গঠন করা হয়েছে। এর আগে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মতে গত ৪ মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ইউএনও কে সভাপতি এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে দশ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে উপদেষ্ঠা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচ শয্যা এবং উপজেলার মঙ্গলকান্দি ২০ শয্যা হাসপাতালে ‘আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় উপজেলা কমিটি ও র‌্যাপিড রেসপন্স টিম গঠন করা হলেও প্রতিরোধে দলের সদস্যদেরকে কোন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসক,নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মাস্ক, গাউন ও অন্যান্য কোন সামগ্রী নেই। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় জনবল ও সরঞ্জামের চাহিদা উল্লেখ করে গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আবেদন করেছেন।
এদিকে গতকাল দুপুরে সরেজমিনে পৌরশহরের কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিক্ষকরা নিজেদের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদেরকে করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধোয়া ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিচ্ছেন।