ব্রেকিং:
মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা ফেনীতে করোনার নমুনা সংগ্রহ করবে স্বাস্থ্যকর্মীরা ফেনীর বিভিন্নস্থানে মোবাইল কোটের অভিযান : ১৪ জনের দন্ড ফেনীতে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌছে দিয়েছে ছাত্রলীগ করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের ফেনীর ৭ সরকারি কলেজের একদিনের বেতন ত্রাণ তহবিলে ফেনী ধলিয়ায় গ্রাম পুলিশের বাড়িতে হামলা, আহত ২ মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? ফেনীতে বাড়তি দামে পণ্য বেচায় ৭ দোকানের জরিমানা দেশে করোনায় আক্রান্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার, একদিনে মৃত্যু ৫ যুক্তরাষ্ট্রে করোনা জয় করলেন ১ লাখেরও বেশি মানুষ ফেনীতে গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার ফেনী শহরে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের প্রধানমন্ত্রীর উপহার প্রদান ফেনীতে ডাক্তারদের সুরক্ষা ও রোগীদের চিকিৎসা সামগ্রী দিয়েছে বিএমএ করোনায় মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৯২ হাজার ছাড়ালো
  • শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

ফেনীতে পানি ও চিনি দিয়ে তৈরী হচ্ছে ভেজাল তাল মিছরি

ফেনীর হালচাল

প্রকাশিত: ৫ মার্চ ২০২০  

খাঁটি তালের রস জ্বাল দিয়ে একটি পাত্রে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় চট দিয়ে ঢেকে রাখার কথা বদ্ধ ঘরে। সপ্তাহখানেক পর ওপর ও নিচের অংশ শুকিয়ে দানা আকারে তাল মিছরি তৈরি হওয়ার নিয়ম। এটি এখন বই-পুস্তকেই সীমাবদ্ধ। বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। ফেনী শহরের ইসলামপুর সড়কে পানি ও চিনি দিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে ভেজাল তাল মিছরি। বিএসটিআই ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই তৈরি এসব মিছরি ছড়িয়ে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাট-বাজারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তাল মিছরি হার্নিয়, হার্ডের সমস্যা, সর্দি কাশির উপশম, চোখের দৃষ্টি বাড়ানো, কিডনি স্টোন, পেটে ব্যথা, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, মুখের আলসার, কন্সটিপেশন, গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ, ডায়রিয়া, শিশুদের ব্রেন ডেভেলপমেন্ট, আর্থারাইটিস, শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত সমস্যা, স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য ও তালমিছরি খুব উপকারী। কিন্তু ফেনী শহরে তৈরি তাল মিছরি স্বাস্থ্যের জন্য চরম ক্ষতিকর বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
সরেজমিন দেখা গেছে, বড় বাজারের ইসলামপুর রোডের আশরাফ মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় দুটি কক্ষ ভাড়া নেয় খান টি হাউজ এন্ড কোং। খান টি হাউজ এন্ড কোং দীর্ঘদিন ধরে বিএসটিআই অনুমোদন ছাড়াই ভেজাল মিছরি উৎপাদন করে বাজারজাত করছে। প্যকেটে মিছরি তৈরীতে চিনি, পানি ও দুধের কথা উল্লেখ করলেও দুধ ছাড়াই পানি আর চিনি দিয়ে তৈরী হয় ‘অরজিনাল দুলাল তাল মিছরি।’ ১০ কেজি করে প্রতিটি প্যাকেট তৈরী করা হয়। মান নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই ক্রেতা ও বিক্রেতাদের আগ্রহ দৃষ্টি আকর্ষণ করতে প্যাকেটের মোড়কে মেয়াদোত্তীর্ণ সীল ব্যবহার করছে। পাইকারীভাবে কেজি ৬০-৬৫ টাকা দরে কিনে দোকানীরা ৭০-৭৫ টাকা দরে বিক্রি করে। এদিকে কাকলী ফুড প্রোডাক্টস এর উৎপাদিত নিউ দুলাল তাল মিছরি নাম দিয়ে বাজারে বিক্রি করছে মিছরি। যার প্রতি কেজি মূল্য ৯০ টাকা।
খান হাউজ এন্ড কোং এর কারখানায় সিরাজ ও নার্গিস মিছরিগুলো গ্লাভ ছাড়াই প্যাকেটজাত করছেন। মিছরি তৈরী করেন কারিগর আবদুল হালিম ও হারুন। তারাও জানালেন, মাঝে মাঝে মিছরি তৈরীতে ছানা ব্যবহার করা হয়। ছানাগুলো অনেকদিনের পুরনো। বেশিরভাগ সময় পানি ও চিনি দিয়ে তাল মিছরি তৈরী হয়। নার্গিসের প্রতিদিনের মজুরী ১শ ৫০ টাকা ও হারুন ও হালিমের বেতন ৪শ থেকে ৫শ টাকা।
কারখানার ম্যানেজার লক্ষণের দাবী, অনুমোদন নিয়েই মিছরি তৈরী করা হচ্ছে। চিনি ও পানি দিয়ে তিনি নিজেই মিছরি তৈরীর কথা স্বীকার করেন। তবে কারখানার কোনধরনের কাগজপত্র তিনি দেখাতে পারেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বড় বাজারের এক বিক্রেতা ফেনীর সময় কে জানান, বিএসটিআইর অনুমোদন ও সঠিক মান রয়েছে বলে বিক্রি করতে তাদেরকে উৎসাহী করা হয়। তাল মিছরির কেজি ২শ টাকা। ভেজাল মিছরি হওয়ায় এগুলো ৬৫-৭০ টাকায় বিক্রি হয়।
পৌরসভার স্যানিটারী ইন্সপেক্টর কৃষ্ণময় বণিক ফেনীর সময় কে জানান, ভেজাল খাবার তৈরী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে।
শহর ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো: মুশফিকুর রহমান পিপুল ফেনীর সময় কে জানান, ভেজাল পণ্য স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ভেজালবিরোধী অভিযানে শহর ব্যবসায়ী সমিতি সবসময় সোচ্ছার। প্রশাসন অভিযান চালালে ব্যবসায়ী সমিতির সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
বিএসটিআই ফেনী অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, খান টি হাউজ এন্ড কোং এর উৎপাদিত দুলাল তাল মিছরির কোন অনুমোদন নেই।
ফেনী পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: সাইদুর রহমান ফেনীর সময় কে জানান, যেকোন কারখানার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিতে হবে। ফেনীতে মিছরি তৈরীর কোন কারখানা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করলে পরিবেশ অধিদপ্তর সহযোগিতা করবে।

ফেনীর হালচাল
ফেনীর হালচাল