ব্রেকিং:
মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা ফেনীতে করোনার নমুনা সংগ্রহ করবে স্বাস্থ্যকর্মীরা ফেনীর বিভিন্নস্থানে মোবাইল কোটের অভিযান : ১৪ জনের দন্ড ফেনীতে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌছে দিয়েছে ছাত্রলীগ করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের ফেনীর ৭ সরকারি কলেজের একদিনের বেতন ত্রাণ তহবিলে ফেনী ধলিয়ায় গ্রাম পুলিশের বাড়িতে হামলা, আহত ২ মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? ফেনীতে বাড়তি দামে পণ্য বেচায় ৭ দোকানের জরিমানা দেশে করোনায় আক্রান্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার, একদিনে মৃত্যু ৫ যুক্তরাষ্ট্রে করোনা জয় করলেন ১ লাখেরও বেশি মানুষ ফেনীতে গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার ফেনী শহরে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের প্রধানমন্ত্রীর উপহার প্রদান ফেনীতে ডাক্তারদের সুরক্ষা ও রোগীদের চিকিৎসা সামগ্রী দিয়েছে বিএমএ করোনায় মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৯২ হাজার ছাড়ালো
  • রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস ঝুঁকি দশ টাকার মাস্ক একশ টাকা

ফেনীর হালচাল

প্রকাশিত: ৪ মার্চ ২০২০  

সোনাগাজীতে ওষুধ দোকানগুলোতে মাস্ক সংকট দেখা দিয়েছে। ১০টাকার একটি মাস্ক বিক্রি হচ্ছে একশ টাকায়। এ জন্য অনেক ওষুধ দোকানী মাস্ক বিক্রি করা বন্ধ করে দিয়েছেন। চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় যে কোন ধরনের ভাইরাসসহ ধুলোবালি ও রোগজীবানু থেকে রক্ষা পেতে মানুষের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারের প্রবণতা অনেকগুণ বেড়েছে।

আগে শহরের ওষুধ ফামের্সী ও কসমেটিক্স দোকানগুলোতে (চায়না) কটনের তৈরী একটি মাস্ক বিক্রি হতো পাঁচ-দশ টাকায়। এখন সংকট দেখা দেওয়ায় সে মাস্ক বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। রাস্তায় হকাররা হেঁটে হেঁটে ডাক দিয়ে দশ টাকা বলে কাপড়ের তৈরী এক ধরনের মাস্ক বিক্রি করতো। সে মাস্কও এখন বিক্রি হচ্ছে দুই-তিনগুণ দামে। যা ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি করছেন হকাররা। এছাড়া ফিল্টার করা এক ধরনের মাস্ক বিশ টাকার পরিবর্তে বিক্রি হচ্ছে একশ টাকায়। তারপরও মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে না।

মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পৌরশহরের অর্ধশত ফামের্সীতে গিয়ে মাস্ক পাওয়া যায়নি। শহরের অনেকগুলো কসমেটিক্স দোকানেও দশ টাকা দামে এক ধরণের মাস্ক পাওয়া যেতো। সে সব দোকানেও মাস্কের সংকট লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া উপজেলার ওলামাবাজার, সওদাগরহাট, নবী উল্যাহর বাজার, মতিগঞ্জ, বক্তারমুন্সি, কাজীর হাট ও কুঠিরহাট, তাকিয়া বাজার, কারামতি বাজার, সোনাপুর বাজার, মনগাজীসহ আরও বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে মাস্ক সংকটের কথা জানা গেছে।

ওষুধ দোকানীরা বলছেন, বিক্রি করা তো পরের কথা। দোকানে নিজেরা ব্যবহার করার জন্যও মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে না। কটনের তৈরী একটি মাস্ক আগে দোকানীদের কেনা পড়ত মাত্র দুই-তিন টাকা। দোকানে তাঁরা সেটি পাঁচ টাকা করে বিক্রি করতেন। এখন ৫০টি এক বক্সের মার্স্ক পাইকারী ভাবে কিনতে হচ্ছে এক হাজার- বারোশ টাকায়। এতে দুই টাকার একটি মাস্ক পাইকারী ভাবে কেনা পড়তেছে ৫০-৬০টাকা। দাম বেশী হওয়ায় ক্রেতাদের সঙ্গে সর্ম্পক নষ্ট হতে পারে এ ধারণা থেকে অনেকে মাস্ক বিক্রি আপতত বন্ধ রেখেছেন।

পৌর শহরের জিরো পয়েন্ট এলাকার মা-মনি ফামের্সীর মালিক পিন্টু চন্দ্র নাথ বলেন, তার দোকানে প্রতিদিন কটনের তৈরী প্রায় ৪০-৫০টি মাস্ক বিক্রি হতো। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারণে মাস্কের পাইকারী দাম কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় তিনি আপতত সব ধরণের মাস্ক বিক্রি বন্ধ রেখেছেন।
শহরের পশ্চিম বাজারের ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম বলেন, মাস্কের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চাহিদাও বেড়ে গেছে। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় অনেকে নিতে চাইলেও আমদানী কম থাকায় সংকটের কারণে বিক্রি করতে পারছেন না।

তিনি বলেন, আগে অনেক ওষুধ কোম্পানী বিনা মূল্যে বিভিন্ন ধরণের মাস্ক ব্যবসায়ী ও চিকিৎসকদেরকে কোম্পানীর পক্ষ থেকে সরবরাহ করত। সম্প্রতি কোম্পানীগুলোর পক্ষ থেকেও মাস্ক সরবরাহে তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না।
একরামুল হক নামে এক শিক্ষক বলেন, সোমবার তিনি ফেনী যাওয়ার সময় অটোরিকশাতে ধুলোবালি নাকে-মুখে ঢুকে সর্দি-কাশিসহ রোগজীবানু থেকে রক্ষা পেতে পৌরশহরের একটি ওষুধ দোকান থেকে দশ টাকা দামের একটি মাস্ক ত্রিশ টাকা দিয়ে কিনেছেন। গতকাল সকালে আরেকটি মাস্ক কিনতে গেলে সেটি দাম ৫০ টাকা চাওয়ায় তিনি না কিনে বাসায় চলে যান।

সোনাগাজী বাজার বণিক সমিতির সভাপতি ও উপজেলা ড্রাগিষ্ট সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: নুর নবী পৌর শহরসহ পুরো উপজেলায় মাস্ক সংকটের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সোনাগাজীতে দশ টাকার এবকটি মাস্ক একশ টাকা দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি বলেন, পৌর শহরে ৫০টি ফামের্সীসহ উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে পাঁচশতাধিক ওষুধ দোকান রয়েছে। সব দোকানে একই অবস্থা। বিভিন্ন ক্লিনিকে রোগি দেখার ক্ষেত্রে ও সেবা প্রদানের সময় চিকিৎসকরা দৈনিক কয়েকটি মাস্ক ব্যবহার করতেন। সে খানে এখন সংকটের কারণে সারাদিনের জন্য একটি মাস্ক পাওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি মাস্ক সংকটের বিষযটি সরকারীভাবে উদ্যোগ না নিলে সমাধান করা সম্ভব্য হবে না।

 
ফেনীর হালচাল
ফেনীর হালচাল