ব্রেকিং:
মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা ফেনীতে করোনার নমুনা সংগ্রহ করবে স্বাস্থ্যকর্মীরা ফেনীর বিভিন্নস্থানে মোবাইল কোটের অভিযান : ১৪ জনের দন্ড ফেনীতে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌছে দিয়েছে ছাত্রলীগ করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের ফেনীর ৭ সরকারি কলেজের একদিনের বেতন ত্রাণ তহবিলে ফেনী ধলিয়ায় গ্রাম পুলিশের বাড়িতে হামলা, আহত ২ মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? ফেনীতে বাড়তি দামে পণ্য বেচায় ৭ দোকানের জরিমানা দেশে করোনায় আক্রান্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার, একদিনে মৃত্যু ৫ যুক্তরাষ্ট্রে করোনা জয় করলেন ১ লাখেরও বেশি মানুষ ফেনীতে গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার ফেনী শহরে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের প্রধানমন্ত্রীর উপহার প্রদান ফেনীতে ডাক্তারদের সুরক্ষা ও রোগীদের চিকিৎসা সামগ্রী দিয়েছে বিএমএ করোনায় মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৯২ হাজার ছাড়ালো
  • শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

সোনাগাজীর উপকূলে জেলে পরিবারে হাসি-কান্না….

ফেনীর হালচাল

প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২০  

ফেনীর সোনাগাজীর উপকূলীয় অঞ্চলের অধিকাংশ জনগোষ্ঠী জেলে। জেলেদের মাছ শিকারের কারণে অত্র অঞ্চলের মানুষের খাদ্য-পুষ্টি জোগানোর ক্ষেত্রে অবদান রাখছে। কর্মসংস্থান, অর্থনীতি, আর্থ-সামাজিক ও সংস্কৃতিতে আমাদের মৎস্যজীবীরা এমন ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছেন, এ দেশ তথা জাতিকে মাছে-ভাতে বাঙালি গর্বিত পরিচয়ে সংজ্ঞায়িত করে ফেলেছে অনেক আগে। সোনাগাজীর উপকূলের ভেজাল মুক্ত মাছ সবার পছন্দের তালিকায় । সেই মাছ শিকার করতে প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে টিকে থাকতে হয়।

 

বর্ষার প্রারম্ভে নদীতে প্লাবন এলে জেলেদের দু:খ বাড়ে, আবার জন্য নদীর উজানে  জেলেদের মনে হাসি ফোটে।

গভীর সমুদ্রে জেলেরা মাছ ধরতে গেলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসে, অভুক্ত জেলেরা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেমে গেলে আবার নতুন করে বাঁচার স্বপ্নে ইলিশ শিকারের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাড়ি দেয় বঙ্গোপসাগরে। জেলেদের জালে আটকা পড়ে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ। মুখে হাসি ফুটে তাদের। জীবন-জীবিকা যে ইলিশের ওপর নির্ভরশীল সেই ইলিশগুলো যদি ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ে তবে কার না ভালো লাগে! তবে অবাক হওয়ার বিষয় এই যে, ওই ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ চাহিদা অনুযায়ী খুব বেশি বড় নয়।দেশের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের অন্যতম কেন্দ্র বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা। সেখানে দেখা গেল মৌসুমের ইলিশগুলো প্রয়োজনের তুলনায় এখন অনেক কম, আকারেও অনেক ছোট। ফলে দাম বাড়তি হলেও ওজনে কম হওয়ায় জেলেদের দাদন পরিশোধ করে অর্থনৈতিক চাহিদা মিটাতে পারছে না। বর্তমান ইলিশের সাইজ ৪০০ গ্রাম থেকে ৭০০ গ্রাম পর্যন্ত, অথচ প্রতি বছর অহরহ ১০০০/১৩০০ গ্রামের ইলিশ আহরণ করত জেলেরা। বঙ্গোপসাগরের বিষখালী নদীতীরে ইলিশ দেখে দেখে বড় হয়েছি বলে শৈশবে নিজচোখে দেখা ২০০০/২৫০০ গ্রামের ইলিশ এখন আমার কাছে অনেকটা উপাখ্যান বলে মনে হয়। এখনো চোখ বন্ধ করলে দেখি জেলেদের জালে বন্দী থেকে মুক্ত হয়ে বাঁচতে না পারা অসংখ্য ওই ইলিশকে নদীতে ঢেউয়ের সঙ্গে ভেসে যেতে। তখন মাছের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি অথচ মানুষ টাকার অভাবে মাছ ক্রয় করতে পারেনি। মানুষের অভাব ছিল, সব পরিবার প্রতিদিন মাছ খেতে পারত না। আয়-রোজগার ছিল অনেক কম।

বর্তমান সরকারের সফল রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য আজ আর মানুষের সে অভাব নেই। মঙ্গাপীড়িত মানুষ এখন খুঁজে পাওয়া যায় না। আগের চেয়ে মাছের সংখ্যা এখন কম, দামটাও অনেক চড়া অথচ এখন নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে উচ্চবিত্ত পরিবারের সবাই কমবেশি প্রতি বেলায় মাছ খেতে পারছে।

৬৫ দিনের অবরোধের সময় আমাদের জেলেরা যখন সরকারের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে অতিকষ্টে দুবেলা পেটপুরে না খেয়ে দিনাতিপাত করেছিলেন ঠিক তখন গত ৭ জুলাই পটুয়াখালীর পায়রাবন্দর সংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবৈধভাবে বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশ ও মাছ শিকারের অভিযোগে ৩২টি ভারতীয় ফিশিং ট্রলারসহ পাঁচ শতাধিক জেলেকে আটক করে কোস্টগার্ড। এসব ট্রলারের কোনোটিতে ২০ জন, ২২ জন, আবার কোনো ট্রলারে ১৮ জন, ১৭ জন করে জেলে ছিল।

আটককৃত ভারতীয় জেলেরা জানিয়েছিল, ঝড়ের কবলে পড়ে তারা পথ ভুলে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করেছে। অপরদিকে এসব ট্রলারে মাছ ছাড়া অন্য কোনো অবৈধ মালামাল রয়েছে কিনা তা খুঁজে দেখা হয়েছিল। কিন্তু রুপালি ইলিশ ছাড়া ওই সময় ভারতীয় জেলেদের কাছে আর কোনো অবৈধ কিছুই পাওয়া যায়নি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ভারতীয় ট্রলারগুলো সত্যিই পথ ভুলে এসেছে নাকি অবাধে আমাদের মা ইলিশগুলো ধরতে এসেছিল? আর গত বছরের আমাদের সেই বড় আকারের ইলিশগুলো গেল কই? ৬৫ দিনের অবরোধের আগে কখনো কোনো দিন কেন তারা পথ ভুলে আমাদের সমুদ্রসীমায় এসে পৌঁছায়নি?

যেখানে টানা ৬৫ দিন অবরোধ সম্পন্ন করা হলো সেখানে একসঙ্গে ৩২টি ট্রলারে পাঁচ শতাধিক জেলে বন্দী হলো- বিষয়টি কি সরকারের খতিয়ে দেখা উচিত নয়? তবে প্রবল প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও ভারতীয় জেলেদের আটক করার পদক্ষেপটি কোস্টগার্ড প্রশংসার দাবিদার রাখে, সঙ্গে আতঙ্ক এসে যায় আমাদের কোস্টগার্ডের চোখ ফাঁকি দিয়ে ভারতীয় অনুপ্রবেশকারী অন্য জেলেরা আমাদের মাছগুলো ধরে নিয়ে যায়নি তো?

ফেনীর হালচাল
ফেনীর হালচাল