ব্রেকিং:
মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা ফেনীতে করোনার নমুনা সংগ্রহ করবে স্বাস্থ্যকর্মীরা ফেনীর বিভিন্নস্থানে মোবাইল কোটের অভিযান : ১৪ জনের দন্ড ফেনীতে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌছে দিয়েছে ছাত্রলীগ করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের ফেনীর ৭ সরকারি কলেজের একদিনের বেতন ত্রাণ তহবিলে ফেনী ধলিয়ায় গ্রাম পুলিশের বাড়িতে হামলা, আহত ২ মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? ফেনীতে বাড়তি দামে পণ্য বেচায় ৭ দোকানের জরিমানা দেশে করোনায় আক্রান্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার, একদিনে মৃত্যু ৫ যুক্তরাষ্ট্রে করোনা জয় করলেন ১ লাখেরও বেশি মানুষ ফেনীতে গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার ফেনী শহরে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের প্রধানমন্ত্রীর উপহার প্রদান ফেনীতে ডাক্তারদের সুরক্ষা ও রোগীদের চিকিৎসা সামগ্রী দিয়েছে বিএমএ করোনায় মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৯২ হাজার ছাড়ালো
  • মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

এবার সেই নুসরাতের বোনকে হত্যার চেষ্টা!

ফেনীর হালচাল

প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

এবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ফেনীর চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের শিকার মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির খালাত বোন ফারজানা আক্তার ফাহিমাকে। অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার দেবরই তাকে হত্যার চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার ফারজানা আক্তারকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর জেলার ফুলগাজীর জিএমহাট ইউপির লক্ষ্মীপুর গ্রামে তাকে নির্যাতন করা হয়।

এর আগে তাকে ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তার ঠোঁটে চারটি সেলাই দেয়া হয়েছে। আঘাতে তার দাঁতের মাড়ি নড়বড়ে হয়ে গেছে।

এ ঘটনায় ফারজানা আক্তার বাদী হয়ে ওইদিন ছাগলনাইয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে কেউ এখনো আটক হয়নি।

ফারজানা আক্তার ছাগলনাইয়ার ঘোপাল ইউপির দুর্গাপুর সিংহনগর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী মেয়ে। নুসরাত জাহান রাফির খালাত বোন।

ফারজানা আক্তারের মা রুপিয়া আক্তার রোববার জানান, জিএমহাটের লক্ষ্মীপুর গ্রামের আবু তৈয়বের ছেলে আবু বক্কর ছিদ্দিক নয়নের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয় ২০১০ সালের ১০ জুলাই। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। নয়ন চট্টগ্রামে এক্সিম ব্যাংকে কর্মরত রয়েছেন।

বিয়ের পর থেকে তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল তার দেবর মনছুর আলম। তাকে সে প্রায় সময় অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে সাড়া না দেয়ায় নানা অজুহাতে ফারজানাকে জ্বালাতন করত মনছুর। বিষয়টি বারবার তার স্বামীকে জানানোর পরও সে গুরুত্ব দেয়নি।

তিনি জানান, গত ১৬ সেপ্টেম্বর পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ঘরের ভেতর ফারজানাকে লাথি ও কিলঘুষি মেরে রক্তাক্ত করে ফেলে মনছুর। চুল ধরে ঘরের মেঝেতে আছার দেয় সে। এতে তার ঠোঁট ফেটে যায়। নড়ে যায় দাঁতের মাড়ি। ওই সময় তার শাশুড়ি ছেমনা বেগমও তাকে পেটাতে থাকেন। তখন তার স্বামী চট্টগ্রামে ছিলেন।

ফারজানার মা অভিযোগ করেন, তারা (ফারজানার দেবর-শাশুড়ি) আমার মেয়েকে মেরে ঘর থেকে অন্য জায়গায় সরে যায়। প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় ফারজানা সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিয়ে চিকিৎসা নিতে ফেনী যাওয়ার পথে মনছুর ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা তার গাড়ি আটকে দেয়। তাকে চিকিৎসা না দিয়ে জোর করে বাড়িতে নিয়ে আসে। খবর পেয়ে তার মা ওই বাড়িতে গিয়ে অচেতন অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

ফারজানা বিয়ের পর থেকে তার ওপর চলা নির্যাতনের বর্ণনা লিখে গেছেন। চার পৃষ্ঠার বর্ণনায় তিনি বলেছেন, দেবর তার জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। তার স্বামীও পরকীয়ায় আসক্ত। তাকে স্ত্রী হিসেবে মানতে নারাজ তার স্বামী। তার এতসব অভিযোগ কেউ বিশ্বাস করছেন না।

ফারজানাকে মারধরের ঘটনা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সত্যতা স্বীকার করেছেন।

চট্টগ্রাম মেডিকেলে ফারজানা আক্তারের সঙ্গে থাকা তার ভাই ফারুক হোসেন বলেন, ফারজানা কথা বলতে পারছেন না। দাঁতের নিচের মাড়ি নড়ে গেছে। শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা। ঠোঁটে সেলাই দেয়া মুখ ফুলে গেছে।

অভিযোগ তদন্তকারী ছাগলনাইয়া থানার এসআই মনির হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল ফুলগাজী থানায়। মামলা করলে ওই থানায় করতে হবে। তারপরও এ থানায় অভিযোগ দেয়ায় আমি ঘটনাস্থলে দু'বার গিয়েছিলাম। তবে বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি।

ফারজানা আক্তারের স্বামী আবু বক্কর ছিদ্দিক নয়নের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রথমে আমার মায়ের হাতে আঘাত করেছিল ফারজানা। তখন আমার ভাই মনছুর ফারজানাকে লাথি মারে। এত কিছু হয়েছে পরিবার থেকে আমাকে জানানো হয়নি।

তার বিরুদ্ধে করা পরকীয়ার অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, তারা প্রমাণ করুক।

এদিকে মনছুর আলমের ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ফেনীর হালচাল
ফেনীর হালচাল