‘ভোট সুষ্ঠু হচ্ছে, জয়ে আশাবাদী ছাত্রলীগ’

ছাত্রলীগের ভিপি প্রার্থী রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, ভোট নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। আমরা সবসময় শিক্ষার্থীর পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকবো। আমাদের প্যানেল সবার সেরা। জয়ের ব্যাপারে আমরা সম্পূর্ণ আশাবাদী।

অবশেষে প্রায় তিন দশক পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে অনেক প্রতীক্ষার ডাকসু নির্বাচন। নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য সকাল ৮টার অনেক আগে থেকেই শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়েছেন লম্বা লাইনে। এরইমধ্যেই ভোট দিতে পারা শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাস জানিয়েছেন। 

রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, আমি জয়ের ব্যাপারে খুবই আশাবাদী। বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে শিক্ষার্থীরা তাদের নিজেদের সংগঠন মনে করে। দেশরত্ন শেখ হাসিনার দিকে তাকিয়ে শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগকে তাদের ভোট প্রদান করবে।

সোমবার দিনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য অন্যরকম। ভোট দিতে ভোর থেকেই দেখা গেছে লম্বা লাইন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হল বাদে বাকি ১৭টি হলে উৎসব আর উৎসাহ নিয়ে চলছে ডাকসু নির্বাচন। দুপুর দুটো পর্যন্ত ভোট প্রদানের পর ভোট গণনা শুরু হওয়ার কথা। প্রায় তিন দশক পর ডাকসুর সাক্ষী হতে পেরে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস তাই বাঁধভাঙা।

ভোট দিয়ে শিক্ষার্থীরা জানান, প্রথমত ভোট দিতে পেরে খুবই আনন্দিত। সুশৃঙ্খলভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভোট দেয়ার ব্যবস্থা করায় আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যেকোনো ঐতিহাসিক সাক্ষী শুধু আনন্দের নয়, গর্বের বটে। আমরা ঐতিহাসিক সাক্ষী হতে যাচ্ছি সেটাও আনন্দের।

একজন শিক্ষার্থী ভোট দিচ্ছেন ৩৮টি ক্যাটাগরিতে। এ কারণে সময়ও লাগছে খানিকটা বেশি। তবে তা নিয়ে আক্ষেপ বা অভিযোগ নেই কারোরই।

ভিপি পদে ২১, জিএস পদে ১৪ এবং এজিএস পদে লড়ছেন ১৩ জন প্রার্থী। অন্যদিকে নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৪৩ হাজার ২৫৫ জন। কড়া নিরাপত্তা রয়েছে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। ভোটগ্রহণ শেষে ভোট গণনা হবে ওএমআর মেশিনে।