ব্রেকিং:
মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা ফেনীতে করোনার নমুনা সংগ্রহ করবে স্বাস্থ্যকর্মীরা ফেনীর বিভিন্নস্থানে মোবাইল কোটের অভিযান : ১৪ জনের দন্ড ফেনীতে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌছে দিয়েছে ছাত্রলীগ করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের ফেনীর ৭ সরকারি কলেজের একদিনের বেতন ত্রাণ তহবিলে ফেনী ধলিয়ায় গ্রাম পুলিশের বাড়িতে হামলা, আহত ২ মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? ফেনীতে বাড়তি দামে পণ্য বেচায় ৭ দোকানের জরিমানা দেশে করোনায় আক্রান্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার, একদিনে মৃত্যু ৫ যুক্তরাষ্ট্রে করোনা জয় করলেন ১ লাখেরও বেশি মানুষ ফেনীতে গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার ফেনী শহরে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের প্রধানমন্ত্রীর উপহার প্রদান ফেনীতে ডাক্তারদের সুরক্ষা ও রোগীদের চিকিৎসা সামগ্রী দিয়েছে বিএমএ করোনায় মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৯২ হাজার ছাড়ালো
  • রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

হাতিরঝিলের মাদার তেরেসা

ফেনীর হালচাল

প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯  

রাত তখন ১১টা। হাতিরঝিলে অবসর কাটানো মানুষের আনাগোনা। হাতিরঝিলের ল্যাম্পপোস্টের আলোতে ঘোমটা দেয়া বয়স্ক এক নারী নিজের হাতে বানানো চুড়ি-মালা, কানের দুল বিক্রি করছেন। কিন্তু সারাক্ষণই নিজেকে আড়ালে রাখার চেষ্টা করেন। নিজের পরিচয় জানাতে চান না। সব প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান। কিন্তু  কে এই নারী?

অনেক কষ্টে তার পরিচয় জানা গেলো। তার নাম রাজিয়া খাতুন। তিনি একটি স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক। রাজিয়া খাতুন বলেন, আমার উদ্দেশ্যই মানুষকে সাহায্য করা। আমার পরিচয় প্রকাশ করতে চাই না। জনসেবা, মানুষ সেবা করার জন্য এটা করি। আমার ছেলেমেয়ে, আত্মীয় স্বজন কেউ জানে না। ওইদিন একটা ছেলে সড়ক দুর্ঘটনায় আঘাত পেয়ে রাস্তায় পড়েছিলো। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। কালকে হাসপাতালে তার অপারেশনের টাকা দিতে হবে, মা-বোনদের খাওয়াতে হবে।

রাজিয়া খাতুনের তিন মেয়ে এক ছেলে। স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি নিজের বানানো চুড়ি, মালা, কানের দুল হাতিরঝিলে বিক্রি করে থাকেন। কিন্তু তিনি এগুলো নিজের জন্য বিক্রি করেন না, অন্যের জন্য এগুলো বিক্রি করেন। 

সেবাই পরম ধর্ম, স্বামীর মৃত্যুর পর এই বোধটাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। সেই তাড়নায় হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ছোটাছুটি করেন। সন্ধার অন্ধকারে নিজের নাম পরিচয় লুকিয়ে সামান্য কিছু টাকা আয় করে দুস্থ রোগীদের পাশে দাঁড়ান। ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে মোসা নামে এক রোগীকে ভর্তি করিয়েছেন তিনি। শুধু মোসা নয় এরকম আরো অনেক মোসার চিকিৎসা চালাচ্ছেন রাজিয়া খাতুন। এদের কারো কাছে রাজিয়া মা আবার কারো কাছে খালাম্মা আবার কারো কাছে মানুষের চেয়েও বড় কিছু।

ফেনীর হালচাল
ফেনীর হালচাল