বুড়িগঙ্গা তীরের ২৭ কারখানা ও হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ

পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া রাজধানীর শ্যমপুর ও পোস্তগোলা এলাকায় বুড়িগঙ্গার তীরে থাকা ২৭টি ডায়িং কারখানা এবং বেসরকারি হাসপাতাল বন্ধ করতে পরিবেশ অধিদফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। প্রতিষ্ঠানগুলো আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বন্ধ করতে হবে।

একইসঙ্গে বুড়িগঙ্গায় সুয়ারেজ সংযোগ না থাকার মিথ্যা তথ্য দেয়ায় ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না তার কারণ জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

রোববার বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের ২০১১ সালে করা একটি রিটের এ আদেশ দেয়া হয়েছে।

আবেদনে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, পরিবেশ ও ওয়াসার বৈধ ছাড়পত্র ছাড়া বুড়িগঙ্গার তীরে থাকা স্থাপনার প্রতিবেদন জমা দিতে পরিবেশ অধিদফতর, বিআইডব্লিউটিএ ও ওয়াসাকে নির্দেশ দেয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে একটি প্রতিবেদনে পরিবেশ অধিদফতর জানায়, বুড়িগঙ্গা তীরে ২৭টি অননুমোদিত ডায়িং কারখানা ও হাসপাতাল রয়েছে। পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়াই এসব প্রতিষ্ঠান চলছে। ওয়াসার প্রতিবেদনে এমডি জানিয়েছিলেন বুড়িগঙ্গার তীরে কোনো সুয়ারেজ সংযোগ নেই। কিন্তু বিআইডব্লিউটিএ তাদের প্রতিবেদনে জানায় নদীতে একাধিক সুয়ারেজ সংযোগ রয়েছে। আর এসব কারণে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে।

শুনানি শেষে আদালত অন্তবর্তীকালীন ওই আদেশ দেন এবং আগামী ২ ডিসেম্বর এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রিপন বাড়ৈ।