ফেনীতে খাদ্য সহায়তা, সচেতনতায় ৫০০ স্বেচ্ছাসেবক মাঠে

ফেনীতে বিভিন্ন সংগঠনের ৫ শতাধিক কর্মী গত ১৫ দিন ধরে মাঠে কাজ করছেন। এদের কেউ বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার দিচ্ছেন, কেউ সচেতনতা তৈরীর চেষ্টা করছেন, আবার কেউবা মসজিদ, রাস্তা পরিস্কার করছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকবেন এরা।

ফেনী প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবী-সামাজিক সংগঠন ‘সহায়’ এর উপদেষ্টা মুহাম্মদ আবু তাহের ভুঁইয়া বলেন, আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে দুই শতাধিক পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের কর্মচারিদের মাঝে এবং লালপুল বেদে পল্লীতে খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। আমাদের কর্মীরা সচেতনতা সৃষ্টিতেও কাজ করছেন।

স্থানীয় সাংবাদিক আতিয়ার সজলও তার কয়েবজন বন্ধুকে সাথে নিয়ে কয়েক শ’ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, অনেকে কাজ না পেয়ে খাদ্যের সংকটে আছেন। আমরা তাদের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করছি। অনটনে থাকা মানুষদের খুঁজে খুঁজে আমরা খাবার পৌঁছে দিতে চেষ্টা করছি।

আরেক সংগঠক আমির মক্কী বলেন, আমাদের বন্ধুদের সাথে নিয়ে আমরা কয়েক শ’ পরিবারকে খাবার দেবার উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা খাবার বাড়ি বা গিয়ে পৌঁছে দিচ্ছি। পাশাপাশি লোকজন যেন সামাজিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলতে পারেন সেজন্য বিভিন্ন দোকানের সামনে আমরা তিন মিটার পর পর সাদা রঙ দিয়ে চিহ্ন এঁকে দিচ্ছি।

ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের লস্করহাট এলাকায় বন্ধুদের সাথে নিয়ে পরিচ্ছন্নতা চালাচ্ছেন স্থানীয় সাংবাদিক রাশেদুল হাসান। তিনি বলেন, আমরা একদিকে সচেতনতা তৈরীতে কাজ করছি, অন্যদিকে মসজিদসহ নানা প্রতিষ্ঠান জীবানুমুক্ত রাখতেও কাজ করছি।

ফেনীর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক ওসমান গনি রাসেল বলেন, আমরা আমাদের স্বেচ্ছাসেবী বন্ধুদের নিয়ে “তৃপ্তির আহার”- শীর্ষক কর্মসূচি চালু করছি। একটি নির্দিষ্ট স্থানে খাবার রান্না করে অভাবী মানুষের মাঝে বিলি করা হবে খাবার।

আরেক সংগঠক ইমন উল হক বলেন, ইতোমধ্যে কয়েকটি সংগঠনের পক্ষ থেকে রান্না করা খাবার বিলি করা হয়েছে। মিজান রোডের মাহবুব উল পেয়ারা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে দুই শতাধিক পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি সংগঠনের কর্মীরা অসহায় মানুষের জন্য কাজ করছে। আমরা তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি