সোনাগাজীতে ২১ জনের নমুনা সংগ্রহ, ১৬ বাড়ি লকডাউন

সোনাগাজীতে প্রথমবারের মতো শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর (৩৫) পরিবারের নয় সদস্যসহ ২১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল বুধবার সকালে ১২ জন এবং মঙ্গলবার অপর নয় জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরা সবাই কোন না কোনো ভাবে ওই রোগির সংস্পর্শে এসেছিলেন। এঘটনায় আক্রান্ত রোগির বাড়িসহ কর্মস্থল ও সহকর্মীদের ১৬টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।

আক্রান্ত হওয়া ওই রোগীর বাড়ি সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চর চান্দিয়া এলাকায়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা উৎপল দাশ  এ তথ্য নিশ্চিত করেন বলেন, গতকাল বুধবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের র‌্যাপিড রেসপন্স দলের কয়েকজন সদস্য শনাক্ত হওয়া ওই রোগির উত্তর চর চান্দিয়ার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের নয় সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে হাসপাতালে তাঁর আরও তিন সহকর্মীর নমুনা নেওয়া হয়। এছাড়া গত মঙ্গলবারও ওই রোগির কর্মস্থল বেসরকারি ক্লিনিকের চিকিৎসকসহ তিন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ছয়জন চিকিৎসক- কর্মচারী মিলে দুইদিনে ২১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ওই রোগির সহকর্মী ও বন্ধুদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
তিনি বলেন, গতকাল ২১ জনের সংগ্রহ করা নমুনায় করোনাভাইরাস শনাক্ত করণের পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রাপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এনিয়ে গতকাল পর্যন্ত উপজেলা থেকে ৪১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ১৬ এপ্রিল ওই যুবকের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজে (বিআইটিআইডি) পাঠানো হয়। গত সোমবার রাতে তাঁর নমুনার পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসে। এনিয়ে জেলায় এখন পর্যন্ত দুইজনের শরীরের করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে ফেনী ট্রমা সেন্টারে আইসোলেশনে রেখে তার চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) অজিত দেব  বলেন, ওই যুবক করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর সোমবার রাতে তার বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার পর্যন্ত তার ও সহকর্মীদের বাড়িসহ ১৬টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বেসরকারি ক্লিনিকটি বন্ধ করে সকল কর্মচারীকে বাধ্যতামুলক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।