সোনাগাজীতে লকডাউনের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকির এড়ানোর লক্ষ্যে সোনাগাজী উপজেলার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা ও গ্রামীণ বেশ কয়েকটি সড়কে লকডাউনের নামে স্থানীয় কিছু যুবকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীদের বেশির ভাগ সিএনজি চালিত ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক। তবে কিছু কিছু সড়কে ভ্যান চালকেও চাঁদা দিতে হয়েছে।

ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সরকারি ভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ও মানুষের গণজমায়েত নিষিদ্ধ করার পর থেকে উপজেলার মতিগঞ্জ , চর চান্দিয়া, বগাদানা, মঙ্গলকান্দি, পৌরসভা, সদর ও আমিরাবাদ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্রবেশ পথের সড়কে বাঁশ ও গাছ ফেলে স্থানীয় লোকজন স্বেচ্ছায় নিজেদের লকডাউন করেছে।

তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সড়ক গুল্ োথেকে বাঁশ ও গাছের গুটি সরি ফেলার কথা বলা হলেও অনেক এলাকায় তা রয়ে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের নিজেদের উদ্যোগে গ্রামীণ সড়কে বাঁশ ও গাছের গুটি ফেলে এলাকায় মানুষের যাতায়ত সীমিত ও বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু এ অঘোষিত লকডাউনকে পুঁজি করে এক শ্রেণির কিছু অসাধু যুবক ওই সব সড়কে চলাচলকারী সিএনজি অটোরিকশা থেকে ১০-২০টাকা করে চাঁদা আদায় করছে।

অটোরিকশা চালকরা জানায়, সোনাগাজী-বহদ্দারহাট সড়ক,কাশ্মীরবাজার সড়ক, মতিগঞ্জ- কাশ্মীর বাজার, ভোয়াগ, স্বরাজপুর, জমদার বাজার- মোহাম্মদপুর সড়ক, সোনাপুর- কমান্ডার বাজার, মনগাজী- তেমুহনী সড়ক, তাকিয়া বাজার- আড়কাইম সড়কসহ আরও বেশ কয়েকটি সড়কে গত ৪-৫দিন ধরে ১০-২০ টাকা করে চাঁদাবাজি করছে। তবে পুলিশ দেখলে তাঁরা সরিয়ে পড়ে।

সোনাগাজী পৌর শহরের সিএনজি চালক আবুল কালাম বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি যাত্রী নামিয়ে দিয়ে বহদ্দার হাট এলাকা থেকে ফেরার পথে পৌরসভার চর গনেশ এলাকায় আসলে কয়েকজন যুবক গাড়ি থামাতে সংকেত দেয়। গাড়ি থামানোর পর তার কাছ থেকে ২০ টাকা নেওয়া হয়। যুবকরা তাকে জানায়, সড়কটি লকডাউন ছিল। তারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে সড়কটি খুলে দিয়েছেন। এতে তাদের কিছু টাকা খরচ হয়েছে।

কাশ্মীর বাজার এলাকার সিএনজি চালক নুর মোহাম্মদ বলেন, কাশ্মীর বাজার থেকে মতিগঞ্জ যেতে ভোয়াগ এলাকায় কয়েকজন যুবক তার কাছ থেকে ২০ টাকা চাঁদা নিয়েছে।

উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: রবিউজ্জামান বলেন, তার ইউনিয়নের কোন সড়কে গাড়ি থেকে চাঁদাবাজির বিষয়ে তাকে কেউ জানায়নি। তবে সুনিদিষ্ট অভিযোগ পেলে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানতে চাইলে সোনাগাজী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো: সাইফুদ্দিন বলেন, কোন সড়কে চাঁদাবাজির বিষয়ে পুলিশের কাছে কোন তথ্য নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে সব এলাকায় সড়কে বাঁশ ও গাছ ফেলা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেগুলো সরিয়ে ফেলার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরকে বলা হয়েছে।