ব্রেকিং:
মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা ফেনীতে করোনার নমুনা সংগ্রহ করবে স্বাস্থ্যকর্মীরা ফেনীর বিভিন্নস্থানে মোবাইল কোটের অভিযান : ১৪ জনের দন্ড ফেনীতে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌছে দিয়েছে ছাত্রলীগ করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের ফেনীর ৭ সরকারি কলেজের একদিনের বেতন ত্রাণ তহবিলে ফেনী ধলিয়ায় গ্রাম পুলিশের বাড়িতে হামলা, আহত ২ মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? ফেনীতে বাড়তি দামে পণ্য বেচায় ৭ দোকানের জরিমানা দেশে করোনায় আক্রান্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার, একদিনে মৃত্যু ৫ যুক্তরাষ্ট্রে করোনা জয় করলেন ১ লাখেরও বেশি মানুষ ফেনীতে গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার ফেনী শহরে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের প্রধানমন্ত্রীর উপহার প্রদান ফেনীতে ডাক্তারদের সুরক্ষা ও রোগীদের চিকিৎসা সামগ্রী দিয়েছে বিএমএ করোনায় মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৯২ হাজার ছাড়ালো
  • বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ফেনীতে ৩ শিক্ষক দিয়ে চলছে দেড় হাজার শিক্ষার্থীর পাঠদান !

ফেনীর হালচাল

প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

মাত্র তিন জন শিক্ষক দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে পরশুরাম সরকারী ডিগ্রী কলেজ। ১৯৭২ সালের ১ জুলাইয়ে প্রতিষ্ঠিত কলেজটিতে বর্তমানে এইচএসসি ও স্নাতক (ডিগ্রী) মিলে প্রায় ১৫শ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। রয়েছে। দেড় হাজার শিক্ষার্থীর বিপরীতে বিভিন্ন বিভাগে ২৩ জন শিক্ষক থাকার কথা সেখানে রয়েছে মাত্র ৩ জন শিক্ষক। বিজ্ঞান বিভাগে থাকার কথা ৪ জন শিক্ষক সেখানে ১ জনও নেই। ব্যবসায় বিভাগে থাকার কথা ৫ জন শিক্ষক সেখানেও শূন্য। মানবিক বিভাগে থাকার কথা ১৭ জন শিক্ষক সেখানেও কোন শিক্ষক নেই।

জানা গেছে, বাংলা, ইংরেজী, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, পদার্থবিদ্যা, রসায়নবিদ্যা, প্রাণিবিদ্যা ও গনিতসহ ১৩ টি বিষয়ে কোন শিক্ষক নেই। বর্তমানে বাংলা বিভাগে শিক্ষকের দুটি পদের মধ্যে একজন মাত্র সহকারী অধ্যাপক কর্মরত রয়েছেন। প্রভাষকের একমাত্র পদটিও শূন্য। ফলে ১ জন সহকারী অধ্যাপককে একাই কলেজের দেড় হাজার শিক্ষার্থীর ক্লাস নিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। হিসাববিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষকের দুইটি পদের মধ্যে আছেন মাত্র একজন শিক্ষক। এতে প্রায় হাজারখানেক শিক্ষার্থীকে পাঠদান করতে হয় তাঁকে। বর্তমানে কলেজে ইতিহাস বিভাগেই দুইজন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। তাঁদের একজন সহকারী অধ্যাপক বাকি অন্যজন প্রভাষক। ইংরেজী বিষয়সহ ১০জন অতিথি শিক্ষকের সমন্বয়ে জোড়াতালি দিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান দেয়া হচ্ছে। কলেজের উন্নয়ন  ফি থেকে অতিথি শিক্ষকদের সম্মানী ভাতা প্রদান করা হয়।

স্নাতক ২য় বর্ষের ছাত্র আশিশ চক্রবর্তী, এইচএসসি পরীক্ষার্থী মেহেদী হাসান ও সিপন দেবনাথ জানান, শিক্ষক স্বল্পতার কারনে কলেজটির পড়াশুনার গুনগতমান কমে গেছে শিক্ষার্থীরা দূরদূরান্ত থেকে কষ্ট করে কলেজে আসলেও ক্লাস না হওয়ায় আবার বাসা বাড়ীতে ফিরে যেতে হয়। এতে করে কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা পড়াশুনায় মনোযোগ হারাচ্ছে আবার পরীক্ষায়ও ভাল ফলাফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কলেজে মাত্র তিনজন শিক্ষক ও কয়েকজন অতিথি শিক্ষক দিয়ে দেড় হাজার শিক্ষার্থীর পাঠদান সম্ভব নয়, ফলে যে কোন সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে উপজেলার একমাত্র সরকারি কলেজটি।
এছাড়া কর্মচারী- স্বল্পতার কারনে দৈনন্দিন কাজের প্রয়োজনে দৈনিক হাজিরা ভিত্তিতে (মাষ্টার রোল) পাঁচজন কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কলেজের প্রতিষ্ঠালগ্ন ও পরবর্তী সময়ে জাতীয়করন করার সময় থেকে গ্রন্থাগারিক, সহকারী গ্রন্থাগারিক, পদার্থবিদ্যা, রসায়নবিদ্যা, প্রাণীবিদ্যা বিভাগে প্রদর্শক, কম্পিউটার অপারেটর ও ল্যাবরেটরি সহায়কের পদটিও সৃষ্টি করা হয়নি। কলেজটিতে বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতকে (ডিগ্রী) দেড় হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে। কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আবু কাওছার মোহাম্মদ হারেছ কলেজে ১০ টি বিষয়ে শিক্ষক না থাকার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন শুধু শিক্ষক স্বল্পতা নয় বিজ্ঞান বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ পদার্থবিদ্যা, রসায়নবিদ্যা, প্রাণীবিদ্যা বিষয়ে প্রদর্শকের পদ, সমাজকর্ম শিক্ষক, আইসিটি শিক্ষক, শরীরচর্চা শিক্ষকের পদও সৃষ্টি করা হয়নি। অতি প্রয়োজনীয় বেশকিছুসংখ্যক কর্মচারীর পদ সৃষ্টি করা হয়নি।

পরশুরাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আবু কাউছার মো. হারেছ জানান, কলেজে বর্তমানে যে কয়জন শিক্ষক রয়েছে তাঁদের দাপ্তরিক কাজও করতে হয়। শিক্ষক স্বল্পতার কথা বিবেচনা করে প্রশাসনিক কাজের ফাঁকে তিনি নিজেও ক্লাস নেন। অতিথি শিক্ষকদের প্রতি ক্লাসে পাঠদানের জন্য ১শত টাকা করে সম্মানী ভাতা প্রদান করা হয়। তহবিল স্বল্পতার কারনে সামান্য সম্মানীর টাকাগুলো পরিশোধ করতেও কষ্ট হয়। শিক্ষকের শূন্য পদগুলোর বিপরীতে শিক্ষক পদায়নের জন্য গত ২০১৯ সালের ২৫ জুন সরকারের শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবরে একটি লিখিত অনুরোধপত্রও পাঠান কলেজের অধ্যক্ষ।

ফেনীর হালচাল
ফেনীর হালচাল