ব্রেকিং:
মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা ফেনীতে করোনার নমুনা সংগ্রহ করবে স্বাস্থ্যকর্মীরা ফেনীর বিভিন্নস্থানে মোবাইল কোটের অভিযান : ১৪ জনের দন্ড ফেনীতে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌছে দিয়েছে ছাত্রলীগ করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের ফেনীর ৭ সরকারি কলেজের একদিনের বেতন ত্রাণ তহবিলে ফেনী ধলিয়ায় গ্রাম পুলিশের বাড়িতে হামলা, আহত ২ মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? ফেনীতে বাড়তি দামে পণ্য বেচায় ৭ দোকানের জরিমানা দেশে করোনায় আক্রান্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার, একদিনে মৃত্যু ৫ যুক্তরাষ্ট্রে করোনা জয় করলেন ১ লাখেরও বেশি মানুষ ফেনীতে গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার ফেনী শহরে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের প্রধানমন্ত্রীর উপহার প্রদান ফেনীতে ডাক্তারদের সুরক্ষা ও রোগীদের চিকিৎসা সামগ্রী দিয়েছে বিএমএ করোনায় মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৯২ হাজার ছাড়ালো
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ফুলগাজীতে ‘ক্লু-লেস’ হত্যা মামলার এক আসামীর আদালতে স্বীকারোক্তি

ফেনীর হালচাল

প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০২০  

ফুলগাজীতে এসএসসি পরীক্ষার্থী কাউছার হোসেনকে (১৬) হত্যার চার বছর পর ‘ক্লু-লেস’ ঘটনার আসামীকে রোববার রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশনের (পিবিআই)। আসামী মো. ফয়েজ হোসেন রিয়াদকে (২৪) গ্রেপ্তারের পর আদালতে সৌপর্দ করলে আদালতে সে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে। সোমবার বিকেলে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তানিয়া ইসলামের আদালতে হত্যর দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি দেয় আসামী ফয়েজ হোসেন। পরে তাকে ফেনী জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। গ্রেপ্তার ফয়েজ হোসেন ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার জিএম হাট ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক রতেফ চন্দ্র দাস জানান, ২০১৬ সালের ২৮ মার্চ বিকেলে ফুলগাজীর জিএম হাট ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী কাউছার হোসেনকে (১৬) ঘরের মধ্যে একা পেয়ে তার জেঠাতো ভাই মো. ফয়েজ হোসেন রিয়াদ খাটের ওপর বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। পরে তাঁকে গলায় দড়ি দিয়ে ঘরের ভুতুরের (আঁড়া) সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচারনা চালায়। কেউ কেউ এটাকে ‘জীনের কান্ড’ বলেও চালানোর চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় ওই দিনই ফুলগাজী থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়।

হাসপাতালে ময়নাতদন্তে হত্যার কারণ হিসেবে শ্বাসরোধ ও মাথায় আঘাতের কথা উল্লেখ থাকায় অপমৃত্যু মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ নেয়। ফুলগাজী থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন তদন্ত শেষে কোন সাক্ষ্যপ্রমান না পেয়ে আদালতে চুড়ান্ত রিপোর্ট প্রদান করেন। কিন্ত আদালত এতে সন্তুষ্ট না হয়ে মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য সিআইডিতে প্রেরণের আদেশ দেন। সিআইডি কর্মকর্তাও তদন্ত শেষে কোন সাক্ষ্য প্রমান না পেয়ে আদালতে চুড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন।
এরপর আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের তত্ত্বাবধানে তদন্তের নির্দেশ দেন।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের পরিদর্শক রতেফ চন্দ্র দাসের ওপর ন্যস্ত করা হয়। তবে দীর্ঘ এক বছরের বেশী সময় পিবিআইয়ের একটি বিশেষ টিম তদন্ত শেষে হত্যাকান্ডের যোগসুত্র খুঁজে বের করতে সক্ষম হয় এবং ঘটনায় জড়িত একমাত্র আসামী ফয়েজ হোসেন রিয়াদকে গ্রেপ্তার করে।

তিনি জানান, আসামী মো. ফয়েজ হোসেন রিয়াদ ও নিহত কাউছার হোসেন একই বাড়ীর চাচাতো-জেঠাতো ভাই হয়। নিহত কাউছারের ছোট বোনের সাথে ফয়েজের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এটা কাউছারের পছন্দ ছিল না। ফয়েজের সাথে সম্পর্ক রাখার কারণে বোনকে গালমন্দ এবং মারধরও করে কাউছার। এতে ফয়েজ ক্ষিপ্ত হয় এবং পথের কাঁটা কাউছারকে চিরতরে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে।

২০১৬ সালের ২৮ মার্চ কাউছারদের ঘরে কেউ না থাকার সুযোগে ফয়েজ তাকে (কাউছার) খাটের ওপর শোয়া অবস্থায় মাথায় আঘাত ও বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার করে।

ফেনীর হালচাল
ফেনীর হালচাল