ব্রেকিং:
মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা ফেনীতে করোনার নমুনা সংগ্রহ করবে স্বাস্থ্যকর্মীরা ফেনীর বিভিন্নস্থানে মোবাইল কোটের অভিযান : ১৪ জনের দন্ড ফেনীতে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌছে দিয়েছে ছাত্রলীগ করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের ফেনীর ৭ সরকারি কলেজের একদিনের বেতন ত্রাণ তহবিলে ফেনী ধলিয়ায় গ্রাম পুলিশের বাড়িতে হামলা, আহত ২ মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? ফেনীতে বাড়তি দামে পণ্য বেচায় ৭ দোকানের জরিমানা দেশে করোনায় আক্রান্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার, একদিনে মৃত্যু ৫ যুক্তরাষ্ট্রে করোনা জয় করলেন ১ লাখেরও বেশি মানুষ ফেনীতে গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার ফেনী শহরে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের প্রধানমন্ত্রীর উপহার প্রদান ফেনীতে ডাক্তারদের সুরক্ষা ও রোগীদের চিকিৎসা সামগ্রী দিয়েছে বিএমএ করোনায় মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৯২ হাজার ছাড়ালো
  • শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

‘প্রেম নয় পড়ালেখা করব’ বলায় অ্যাসিডে ঝলসে গেল মনিকার মুখ

ফেনীর হালচাল

প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

রই দুশ্চিন্তার শেষ ছিল না। অথচ আমার সৌন্দর্য মুহূর্তে নষ্ট করে দিল এক বখাটে। আমার তো কোনো দোষ ছিল না। এই ঘটনায় আমার মুখ গলা ও বুক একেবারে ঝলসে যায়। টানা এক বছর হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। বিভিন্ন অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছে। হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে থাকতে থাকতে আরো নিরাশ হয়ে পড়ছিলাম। বিগত ১০ বছরে মুখে মোট ৪৬ বার অস্ত্রোপচার করেছি আমি। 

২০০৯ সালে ঘুরে দাঁড়ায়

হাসপাতালে থাকা অবস্থায় নিজের মনের সঙ্গে অনেক যুদ্ধ করেছি। কেন আমি স্বপ্নগুলো পূরণ করতে পারব না? চেহারা নষ্ট হয়েছে তো কী, মেধা তো আছে। আমি কলেজে যাওয়া শুরু করি। আমার সহপাঠিরাও বেশ আন্তরিক ছিলেন। তারা আমাকে সর্বাত্মকভাবে সাহায্য করেন। ২০০৯ সালে আমি ফ্যাশন ডিজাইনিং এর ডিগ্রি অর্জন করি। আমি কখনো চাইনি পর্দার আড়ালে থেকে কাজ করব, ওড়ানায় মুখ পেঁচিয়ে থাকব।

 

তিনি একজন ফ্যাশন আইকন

তিনি একজন ফ্যাশন আইকন

বাবা প্রথম থেকেই আমার প্রতিটি কাজে উৎসাহ দিতেন। তার কারণেই বোধ হয় আমি ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি। সে সবসময় আমাকে মনোবল শক্ত রাখার পরামর্শ দিতেন। সামান্য এই কারণে আমার পুরো জীবনটা যেন নষ্ট না হয়ে যায় এই প্রয়াসে দিন রাত খেটেছেন বাবা। জানেন? অপরাধীরা ঠিকই গ্রেফতার হয়েছিলেন। মাত্র ২৫ হাজার টাকার মাধ্যমে তারা মুক্ত হয়ে যায়। আমার জীবনের মূল্য কি মাত্র এই কয়েক হাজার টাকা?

২০১৪ সালে আমার গন্তব্য বদলে যায়

বিশ্বের সেরা ফ্যাশনের বিদ্যাপীঠে সুযোগ পায় আমি। পারসন্স স্কুল অব ডিজাইনে অধ্যায়নের সুযোগ পাই। এটা আমার জন্য সত্যিই এক আনন্দের বিষয় ছিল। অতীতের ময়লা ধুলা ঝেড়ে আমি যেন নতুন করে জীবন শুরু করার উদ্যম ফিরে পেলাম। এরই মধ্যে আমার বাবার মৃত্যু আমাকে আবার ছিন্নভিন্ন করে দেয়। আনন্দের পর আবারো বেদনা গ্রাস করল আমাকে। আমি আবার দিশা হারিয়ে ফেলি। 

 

সব প্রতিবন্ধকতা জয় করেছেন তিনি

সব প্রতিবন্ধকতা জয় করেছেন তিনি

নামকরা স্কুলে পড়তে অনেক অর্থের প্রয়োজন। অর্থ সংকট গুরুতর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সেখানকার টিউশন ফি না দিলে পড়তে পারব না। এরপর ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে সাহায্য চাই। সেসময় এভাবে অর্থ জোগাড় করা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় ছিল না। এভাবে আমার গন্তব্যে ধীরে ধীরে এগিয়ে যায়।

২০১৬ সালে স্বপ্ন পূরণ হয়

আমি পারসন্স থেকে স্নাতক সম্পন্ন করি ২০১৬ তে। শেষ বর্ষে থাকাকালীন ২০১৫ সালে বাবার নামে মহেন্দ্র সিং ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করি। অ্যাসিডদদ্ধ নারী, যৌন নির্যাতনের শিকার নারীদের হয়ে কাজ করতে শুরু করি। আমার দল ভারী হতে থাকে। আমরা নিজ প্রচেষ্টা অসহায় এসব নারীদের কল্যাণে কাজ শুরু করি। বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়িত করার চেষ্টা করি। রূপ নয় বরং গুণই মানুষের সেরা অর্জন।

 

পারসন্স থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি

পারসন্স থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি

বর্তমান যে অবস্থানে রয়েছেন মনিকা সিং

আপনার নিশ্চয়ই লক্ষ্মী আগরওয়ালকে চিনেন। যার জীবনের গল্পই দীপিকা পাড়ুকোন তার ছাপাক সিনেমায় তুলে ধরেছেন। এই চলচ্চিত্রটির গল্পের জন্য পরিচালকরা আমার সঙ্গেই প্রথমে যোগাযোগ করেছিলেন। তবে আমি ব্যস্ততার কারণে তাদের প্রকল্পে সংযুক্ত হতে পারিনি। লক্ষ্মী এবং আমার যাত্রা অন্যরকম হতে পারে। তবে জীবনের এক দুঃসময়ের সম্মুখীণ আমরা দু’জনেই হয়েছিলাম।

 

জাতিসংঘে বক্তব্য রাখছেন মনিকা

জাতিসংঘে বক্তব্য রাখছেন মনিকা

বর্তমানে আমি মহেন্দ্র সিং ফাউন্ডেশন নিয়েই ব্যস্ত থাকি। শত শত অসহায় নারী আমার মুখের দিকে চেয়ে থাকে। তাদের ভরসার জায়গা আমি। তাদের প্রতি আমার অনেক দায়িত্ব। তাদের অধিকার আদায়ে আমি সর্বদা অগ্রদূত। তারা যাতে সমাজের কোনো সুযোগ হাতছাড়া না করে তা নিশ্চিত করতে চাই। সবাই যেন অন্যায়ের বিচার পায় সেদিকেও কঠোর দৃষ্টিপাত রাখেন মনিকা সিং। ইচ্ছাশক্তির কারণেই আজ জীবনযুদ্ধে জয়ী এক নারী তিনি।

ফেনীর হালচাল
ফেনীর হালচাল