মহানায়কের জন্মশতবার্ষিকী আজ ফেনীতে উদযাপনে বর্ণাঢ্য প্রস্তুতি

ফেনীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপনে নানা প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ছাড়াও সরকারি দপ্তর সমূহ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ নানা কর্মসূচী গ্রহণ করেছেন। এছাড়া জেলা আওয়ামীলীগ এমনকি ফেনী আওয়ামীলীগ পৌরসভা ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ বছরব্যাপী কর্মসূচী ঘোষণা করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের যৌথ সভায় মুজিব বর্ষ উদ্যাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত সরকার মুজিব বর্ষ উদ্যাপন করবে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সকালে শহরের কলেজ রোডের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ সংলগ্ন প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ, সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর জন্মক্ষণে জীবনী নিয়ে চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। ইতিমধ্যে সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আলোকসজ্জা করা হয়েছে।
পৌর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী ফেনীর সময় বে জানান, পৌর আওয়ামীলীগের উদ্যোগে সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বড় পরিসরে অনুষ্ঠানটি করার কথা থাকলেও করোনাভাইরাস শংকায় এখন ছোট পরিসরে অনুষ্ঠানটি উদ্যাপন করা হবে। বেলা ১১টায় শহরের ট্রাংক রোডের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ১শ পাউন্ডের কেক কাটবেন জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও সদর আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী। রাত ৮টায় বঙ্গবন্ধুর জন্মসময় অনুযায়ী আতশবাজি উৎসবের আয়োজন থাকবে। তবে কর্মসূচিগুলোতে জনসমাগম এড়িয়ে চলা হবে।
সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল ফেনীর সময় কে জানান, সদর উপজেলার সবকটি ইউনিয়নে স্বল্প পরিসরে কেক কাটা, আলোচনা ও মিলাদ মাহফিলের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর কর্মসূচী পালন হবে। এছাড়া নানা আয়োজন চলবে বছরব্যাপী। মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী অংশের মোহাম্মদ আলী থেকে লালপোল পর্যন্ত আলোকসজ্জা করা হয়েছে।
জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট আকরামুজজমান ফেনীর সময় কে জানান, মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুনভাবে ব্র্যাান্ডিং হবে। করোনা আতংকে কর্মসূচী স্বল্প পরিসরে করা হয়েছে। এদিন সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধন করা হবে।