ব্রেকিং:
মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা ফেনীতে করোনার নমুনা সংগ্রহ করবে স্বাস্থ্যকর্মীরা ফেনীর বিভিন্নস্থানে মোবাইল কোটের অভিযান : ১৪ জনের দন্ড ফেনীতে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌছে দিয়েছে ছাত্রলীগ করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের ফেনীর ৭ সরকারি কলেজের একদিনের বেতন ত্রাণ তহবিলে ফেনী ধলিয়ায় গ্রাম পুলিশের বাড়িতে হামলা, আহত ২ মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? ফেনীতে বাড়তি দামে পণ্য বেচায় ৭ দোকানের জরিমানা দেশে করোনায় আক্রান্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার, একদিনে মৃত্যু ৫ যুক্তরাষ্ট্রে করোনা জয় করলেন ১ লাখেরও বেশি মানুষ ফেনীতে গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার ফেনী শহরে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের প্রধানমন্ত্রীর উপহার প্রদান ফেনীতে ডাক্তারদের সুরক্ষা ও রোগীদের চিকিৎসা সামগ্রী দিয়েছে বিএমএ করোনায় মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৯২ হাজার ছাড়ালো
  • শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষক সংকট চরমে

ফেনীর হালচাল

প্রকাশিত: ৫ মার্চ ২০২০  

চরম শিক্ষক সংকটে পরশুরাম সরকারি কলেজ। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু কাওছার মো. হারেছ জানান, অধ্যক্ষসহ ২২জন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন মাত্র  চার জন।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, ১৩টি বিষয়ে পাঠদানের জন্য শিক্ষকের পদসংখ্যা ২১। ইতিহাস বিভাগ ব্যতিত আর সব বিভাগে শিক্ষক সংকট চরম। ইংরেজি, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন, ব্যবস্থাপনা, পদার্থ, রসায়ন, প্রাণিবিদ্যা এবং গণিতে নিয়মিত কোনো শিক্ষক নেই। 

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জানান, ১০জন অতিথি শিক্ষক দিয়ে চলছে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম। কলেজে অধ্যয়নরত ১৫০০ শিক্ষার্থীর বিপরীতে মাত্র চার জন নিয়মিত শিক্ষক থাকায় কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে বলে জানান অধ্যক্ষ। 

তিনি বলেন, এতে করে বিপাকে পড়েছেন কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। কলেজের শূন্যপদ পূরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার অবহিত করা হলেও কোনো সুরাহা হচ্ছে না।

ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহফুজুল হায়দার বলেন, মানসম্মত শিক্ষা পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে হলে অতিথি শিক্ষক দ্বারা পাঠদান করিয়ে তা কখনো সম্ভব নয়। এখানে ১০টি শাখায় কোনো শিক্ষকই নেই। যা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য বড় একটি হুমকি স্বরূপ। 

তিনি বলেন, সরকার যদি বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে শূন্যপদ পূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তাহলে অনেক উপকৃত হব।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, উচ্চ শিক্ষার প্রসারে ১৯৭২ সালে ফেনীর সীমান্তবর্তী উপজেলায় কলেজটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর কলেজটি জাতীয়করণ করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণের পর থেকে তৃতীয় শ্রেণির কোনো পদ সৃষ্টি করা হয়নি। যার ফলে দৈনিক হাজিরা ভিত্তিতে কয়েকজন কর্মচারী কাজ করছে। 

এছাড়াও কলেজে বিষয়ভিত্তিক প্রদর্শক, গ্রন্থাগারিক, সহকারী গ্রন্থাগারিক, কম্পিউটার অপারেটর এবং ল্যাবরেটরি সহায়ক কর্মচারীর পদগুলোও সৃষ্টি করা হয়নি। বর্তমানে ১২ জন কর্মচারীর বিপরীতে চার জন এমএলএসএস, ১জন ঝাড়ুদার, ১জন নৈশ প্রহরী কর্মরত আছে।

কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ সেন বলেন, শিক্ষার্থীরা দূরদূরান্ত থেকে কষ্ট করে কলেজে আসলেও ক্লাস না হওয়ায় আবার বাড়িতে ফিরে যায়। এতে করে কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা পড়াশুনায় মনোযোগ হারাচ্ছে আবার পরীক্ষায়ও ভাল ফলাফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

কলেজ ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আশীষ চক্রবর্তী বলেন, মাত্র চারজন শিক্ষক ও দশজন অতিথি শিক্ষক দিয়ে দেড় হাজার শিক্ষার্থীর পাঠদান সম্ভব নয়। এ সমস্যার দ্রুত সমাধান না হলে যে কোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে কলেজের কার্যক্রম। 

এইচএসসি ছাত্র হাসিবুর রহমান শান্ত বলেন, অনেক দূর হতে এখানে পড়তে আসি। শিক্ষক না থাকায় পড়াশুনার অগ্রগতি হয় না। ফলে বাইরের শিক্ষকদের দ্বারস্থ হয়ে প্রাইভেট পড়ার উপর নির্ভর থাকতে হয়। কিন্তু প্রাইভেট পড়ার সামর্থ্য সবার থাকে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, আমাদের তেমন আর্থিক সামর্থ্য নেই যে, অন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সন্তানকে পড়াব।  আশা করব একমাত্র আশা-ভরসার প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক সংকট দূর করে সন্তানদের ভবিষ্যতের দ্বার খুলে দিবেন।

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেন, অতিথি শিক্ষকদের প্রতি ক্লাসে পাঠদানের জন্য যে সম্মানী ভাতা প্রদান করা হয় তাও তহবিল স্বল্পতার কারণে পরিশোধ করতে কষ্ট হচ্ছে। আগামী এপ্রিল মাসে এইচএসসি পরীক্ষার কথা বিবেচনা করেই অতিথি শিক্ষক দ্বারা পাঠদান চলমান রাখছি। তারপর আমার পক্ষে আর সম্ভবপর হবেনা। 

তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ে প্রতি মাসেই চিঠি প্রদান করে শূণ্যপদ সম্পর্কে অবহিত করি। স্থানীয় এমপি শিরীন আখতার সচিব বরাবর বিষয়টি জানানোর পর তারা একবার ফোনালাপ করে দেখব বলেছিলো। তারপর আর কোনো সাড়া মেলেনি।

অধ্যক্ষ আরো বলেন, বর্তমানে যে কয়জন শিক্ষক রয়েছে তাদের দাফতরিক কাজও করতে হয়। মফস্বল এলাকা হওয়ায় অনেক সময় শিক্ষকরা এদিকে আসতে চায়না। তারপরও বিশ্বাস করি এই প্রতিষ্ঠানটি সচল রাখতে শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে মন্ত্রণালয় দ্রুতই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক শূন্যপদগুলো পূরণে করবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফেনী-১ আসনের এমপি শিরীন আখতার বলেন, কলেজের শূন্যপদ পূরণে কয়েকবার সংশ্লিষ্ট দফতরকে অবহিত করেছি। এ বিষয়ে আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। শীঘ্রই এ সংকট সমাধানের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

ফেনীর হালচাল
ফেনীর হালচাল