পৌরসভা নির্বাচন কেন্দ্রে ব্যালট যাবে ভোটের দিন : ইসি সচিব

আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট ও নির্বাচনী সামগ্রী পাঠানোর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটের আগের রাতে ব্যালটে সিল মারা বন্ধ করতে এই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসি।

সকালে ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সামগ্রী পৌঁছানোর কারণে ভোটগ্রহণ এক ঘণ্টা দেরিতে, সকাল ৯টায় শুরু ও শেষ হবে বিকাল ৫টায়।

সোমবার নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান। সচিব জানান, দ্বিতীয় পর্যায়ের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ হয়েছে। প্রথম ধাপের চেয়ে দ্বিতীয় ধাপে ভোটার উপস্থিতি বেশি বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। তবে এ নির্বাচনে কতটি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেছে, সেই তথ্য ইসির কাছে নেই বলেও জানান সচিব। দ্বিতীয় ধাপে সোমবার দেশের ১১৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ ধাপে অনিয়ম ও ব্যালট পাঠানোর ত্রুটির কারণে ৫টি উপজেলার সাতটি ভোটকেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। বিকাল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর ইসি সচিব সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

ভোটের আগের রাতে ব্যালটে সিল মারা বন্ধে ইসির পদক্ষেপ জানতে চাইলে সচিব বলেন, আগের রাতে ব্যালটে সিল মারা রোধের জন্য নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে প্রযুক্তির ব্যবহার। এছাড়া যেসব এলাকায় কেন্দ্র কাছাকাছি, সেখানে সকালে ব্যালট পেপার পাঠাব।

তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনগুলোয় সকালে ব্যালট পেপার পাঠাব। এর যৌক্তিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রশ্নপত্র সকালে কেন্দ্রে পৌঁছানো সম্ভব। তাই সকালে ব্যালট পেপার কেন্দ্রে পৌঁছানো যায় কি না, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। এমনকি নির্বাচনী মালামাল নিয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সকালে ভোটকেন্দ্রে যাবেন।

তাকে রাতে কেন্দ্রে থাকার প্রয়োজন হবে না। তিনি বলেন, পৌরসভা নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রগুলো শহরের মধ্যে থাকে বিধায় আমরা এমন চিন্তা করছি। পৌরসভা নির্বাচনে সব কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহারের চিন্তা করা হচ্ছে জানিয়ে সচিব বলেন, ইভিএমে নির্ধারিত সময়ের আগে ভোট শুরু করা যায় না।

উপজেলা নির্বাচনে কতটি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেছে, সেই তথ্য ইসির কাছে নেই জানিয়ে সচিব বলেন, বিভিন্ন ধাপে নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। একেকটি ধাপে কতগুলো রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে, সেই ফিগার ইসির কাছে নেই। তবে ধাপগুলো শেষ হলে তথ্য পাব। তখন বলতে পারব।

দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ধাপের ৭ হাজার ৩৯টি কেন্দ্রের মধ্যে সাতটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করার তথ্য দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। বাকি সবখানে কোনো অনিয়মের তথ্য পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, দ্বিতীয় ধাপে অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে।

এ ধাপে অধিকাংশ এলাকায় ভোটার উপস্থিতি ব্যাপক ছিল বলে তথ্য পেয়েছি। কোথাও কোথাও ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। এর মধ্যে পার্বত্য এলাকায় ভোটার উপস্থিতি বেশি লক্ষ করেছি। আবার দিনাজপুর, রংপুর ও সিলেট অঞ্চলে ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। তবে কক্সবাজারসহ কোনো কোনো এলাকায় ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। সব মিলিয়ে প্রথম ধাপের (৪৩%) চেয়ে বেশি ভোট পড়ার হার বেশি হবে আশা করি।

সংবাদ সম্মেলনে ইসির যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান ও এসএম আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।