ব্রেকিং:
মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা ফেনীতে করোনার নমুনা সংগ্রহ করবে স্বাস্থ্যকর্মীরা ফেনীর বিভিন্নস্থানে মোবাইল কোটের অভিযান : ১৪ জনের দন্ড ফেনীতে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌছে দিয়েছে ছাত্রলীগ করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের ফেনীর ৭ সরকারি কলেজের একদিনের বেতন ত্রাণ তহবিলে ফেনী ধলিয়ায় গ্রাম পুলিশের বাড়িতে হামলা, আহত ২ মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? ফেনীতে বাড়তি দামে পণ্য বেচায় ৭ দোকানের জরিমানা দেশে করোনায় আক্রান্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার, একদিনে মৃত্যু ৫ যুক্তরাষ্ট্রে করোনা জয় করলেন ১ লাখেরও বেশি মানুষ ফেনীতে গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার ফেনী শহরে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের প্রধানমন্ত্রীর উপহার প্রদান ফেনীতে ডাক্তারদের সুরক্ষা ও রোগীদের চিকিৎসা সামগ্রী দিয়েছে বিএমএ করোনায় মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৯২ হাজার ছাড়ালো
  • বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

নেপালে বিমান দুর্ঘটনার দুই বছর

ফেনীর হালচাল

প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০২০  

২০১৮ সালের ১২ মার্চ নেপালের কাঠমান্ডু ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় ৫১ জন যাত্রী ও ক্রু প্রাণ হারান। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা আর ঘটেনি। এমনকি ১৯৯২ সালের পর নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও এর চেয়ে ভয়াবহ কোনো বিমান দুর্ঘটনা হয়নি।

সেদিন ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের নেপালগামী ওই ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন ছিলেন আবিদ সুলতান, তার সঙ্গে কো-পাইলট ছিলেন পৃথুলা রশিদ। ৫১ জন যাত্রী ও ক্রুর সঙ্গে নিহতের তালিকায় ছিলেন তারাও। তবে ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যান ২০ জন। যদিও  গুরুতর আঘাতের কারণে তাদের অনেককেই দীর্ঘ সময় চিকিৎসা নিতে হয়।

নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি বিশ্বজুড়েই ঝুঁকিপূর্ণ বিমানবন্দর হিসেবেই পরিচিত। দেশটির বিমান চলাচল নিরাপত্তার মান নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। দেশটির কোনো এয়ারলাইন্স ইউরোপীয় ইউনিয়নের আকাশসীমায় যেতে পারে না এসব কারণে।

এই দুর্ঘটনার পর ঢাকা-কাঠমান্ডু-ঢাকা রুটে ফ্লাইট বন্ধ করে দেয় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। এরপর নতুন আরো  কয়েকটি রুট চালু করলেও নেপালে ফ্লাইট চালু করেনি এয়ারলাইন্সটি।

২০১৮ সালেই দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত বিমানের জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে বিমা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সাত মিলিয়ন ইউএস ডলার পায় ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স। এয়ারলাইন্সটিকে ক্ষতিপূরণের টাকা দেয় সেনাকল্যাণ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। একইসঙ্গে আহত ও নিহত যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ দেয় এই সংস্থাটি। 

প্রত্যেক নিহত যাত্রীর পরিবারকে ন্যূনতম ক্ষতিপূরণ দেয়া হয় ৫১ হাজার ২৫০ ডলারের সমপরিমাণ অর্থ। যদিও ওই ফ্লাইটে থাকা যাত্রীর শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির ভিত্তিতে আহত যাত্রীদের ক্ষতিপূরণের পরিমাণে তারতম্য হয়। 
স্মরণকালের ভয়াবহ এই বিমান দুর্ঘটনায় ৭১ জন আরোহীর মধ্যে ৪ জন ক্রু-সহ মোট ২৭ জন বাংলাদেশি, ২৩ জন নেপালি এবং একজন চীনা যাত্রী নিহত হন। এছাড়াও ওই ঘটনায় ৯ জন বাংলাদেশি, ১০ জন নেপালি, এক জন মালদ্বীপের নাগরিক আহত হন। এ দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট আবিদ সুলতানের স্ত্রী আফসানা খানম স্বামীর মৃত্যুর দু সপ্তাহ পর অসুস্থ হয়ে মারা যান।

ওই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে নেপাল তদন্ত কমিটি গঠন করে। এক বছরের মাথায় তদন্ত প্রতিবেদনও প্রকাশ করে তারা। তদন্ত প্রতিবেদনে পাইলটকে বেশি দায়ী করা হয়। বলা হয়, পাইলট মানসিক চাপের মধ্যেই ছিলেন। নিয়ম না মেনে ককপিটে বসে সিগারেট খাচ্ছিলেন। যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ না করে বিমানটিকে অবতরণের চেষ্টা করান। তবে শুধু পাইলট নন, নেপালেরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলেরও ভুল ছিল বলে বরাবরই দাবি করে এয়ারলাইন্সটি।

এদিকে তদন্ত প্রতিবেদনে কাঠমান্ডু ত্রিভুবন বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ার ও ক্রুদের যোগাযোগের সমস্যাও উঠে এসেছে। রানওয়ে ০২ নাকি ২০ নম্বরে বিমানটি অবতরণ করবে, এ নিয়ে কন্ট্রোল টাওয়ার ও পাইলটের ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়।

ফেনীর হালচাল
ফেনীর হালচাল